
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, “জুলাই হত্যাকারীদের ফিরিয়ে আনা আমাদের মূল লক্ষ্য। এটা আমাদের শপথ, আমাদের অঙ্গীকার। চব্বিশের জুলাইয়ে আন্দোলনে দেশের অসংখ্য শিক্ষার্থী-জনতাকে হত্যা করেছিল ফ্যাসিস্ট সরকার। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ফ্যাসিস্ট সরকারের গণহত্যার চিত্র প্রমাণিত হয়েছে।”
শুক্রবার সকাল ১০টায় মাগুরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রত্যর্পণ (এক্সট্রাডিশন) প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বিচারের রায় মৃত্যুদণ্ড হয়েছে। আমরা চাই তাদের দেশে প্রত্যর্পণ (এক্সট্রাডিশন) করা হোক। তাদের আপিল করার অধিকার আছে। দেশীয় আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে তাদের রায় দ্রুত কার্যকর হয়, আমরা সেইটা করবো। যারা এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল, যাদের হাতে রক্তের দাগ লেগে আছে, তাদের প্রত্যেককে আমরা বাংলাদেশে ফিরে আনবো এটা শহীদদের কাছে আমাদের দায়, আমাদের শপথ। আমরা ফেল করলে এটা পরবর্তী জেনারেশন নিবে। এ জায়গায় কারো ছাড় নেই। দেশের প্রত্যেকটা মানুষ একতাবদ্ধ তাদের ছেলে-মেয়েকে যারা খুন করেছে, পঙ্গু করে দিয়েছে, তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের আওতায় আনবো এটা আমাদের শপথ। আমাদের হাতে নির্বাচনের আগ পর্যন্ত ৭০ দিনের মতো আছে। আমরা পারবো কিনা জানি না, তবে আমাদের চেষ্টা থাকবে।”
‘মাইনাস ফোর’ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা কোনো মাইনাস ফোরের কথা বলিনি। এ কথা যারা বলছে, তারা স্বৈরাচারের দোসরের মতো। যিনি মাইনাস হয়েছেন, তিনি হত্যাযজ্ঞ করে মাইনাস হয়েছেন। উনি উনার পরিবারকে নিয়ে চোরতন্ত্র জারি করেছিলেন সে জন্য উনি মাইনাস হয়ে গেছেন। খালেদা জিয়া আমাদের জাতীয় নেতা। আপামর জনসাধারণের নেতা। উনি শুধু বিএনপি’র নেতা না। আমরা তার সুস্থতা কামনা করি। তিনি দেশে ফিরে আসুক। বাংলাদেশের তার উপস্থিতি (প্রেডেন্ট) খুবই প্রয়োজন। আমরা চাই উনি নির্বাচনে থাকবেন এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা (কনটেস্ট) করবেন।”
আগামী নির্বাচনের বিষয়ে শফিকুল আলম বলেন, “একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা সম্পন্ন করেছে। আমরা চাই দেশে শান্তি ও সুষ্ঠু নির্বাচন।”







