
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, “বিগত ক্ষমতাসীন দলের (আওয়ামী লীগ) এই নির্বাচনে আসার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। কারণ তারা নিজেরাই সহিংস পথ অবলম্বন করে নিজেদের নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে বের করে দিয়েছে।”
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শরীয়তপুরের নড়িয়ার সুরেশ্বর দরবার শরীফ জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুল আলম স্পষ্ট করে বলেন, “কোনো শক্তিই এই নির্বাচনকে ব্যাহত করতে পারবে না। বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।” তিনি উল্লেখ করেন, “গত সাড়ে ১৫ বছর স্বৈরাচারে থাকার কারণে মানুষ একটি ভালো নির্বাচন পায়নি, তাই সবাই নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে।”
আওয়ামী লীগ কীভাবে নির্বাচন থেকে নিজেদের বের করে দিয়েছে সেই কারণ ব্যাখ্যা করে প্রেস সচিব বলেন, “একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান পরিচয় হলো তারা শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করবে, কিন্তু তারা তা না করে রাইফেল-পিস্তল নিয়ে শিশু-কিশোরদের খুন করতে নেমেছিল। তারা ভেবেছিল, বহু মানুষ হত্যা করলে জাতি গত ১৫ বছরের মতো আরো ১৫ বছর চুপ থাকবে। কিন্তু তারা খেয়াল করেনি যে পুরো জাতি জেগে উঠেছে।”
নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা বা আইন হাতে তুলে নেওয়ার যেকোনো প্রচেষ্টা কঠোর হাতে দমন করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন শফিকুল আলম। তিনি বলেন, “আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, ইতোমধ্যে এমন কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যারা অন্যায় ও অবৈধ দাবি নিয়ে মাঠে নামতে চাচ্ছেন, তাদের বিষয়ে সরকার যথেষ্ট কঠোর হবে।”
দুই উপদেষ্টার পদত্যাগের বিষয়ে প্রেস সচিব জানান, প্রধান উপদেষ্টা স্পষ্ট করে বলেছেন যে, তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হবে। যদিও তারা আগের দিন পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন, কিন্তু প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, তফসিল ঘোষণার কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা গৃহীত হবে।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচনের জন্য অধীর, এখানে কোনো ধরনের চ্যালেঞ্জ নেই।”







