চবিতে শিক্ষার্থী-জোবরার স্থানীয় ফের সংঘর্ষ, রণক্ষেত্র

চবিতে শিক্ষার্থী-জোবরার স্থানীয় ফের সংঘর্ষ, রণক্ষেত্র

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক ছাত্রীকে হেনস্তার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে আবারও তুমুল সংঘর্ষ চলছে। উভয়পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় কয়েকজন আহত হওয়ারও খবর পাওয়া গেছে। তবে ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কোনো সদস্যকে দেখা যায়নি।

রবিবার (৩১ আগস্ট) দুপুর ১২টা থেকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পৌনে ১টায়ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তরা আবাসিক ২ নম্বর গেইটে এ সংঘর্ষ চলছে।

দেখা গেছে, দুই-তিনদিক থেকে চবির শিক্ষার্থীদের ওপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা। শিক্ষার্থীরাও জড়ো হয়ে হামলা প্রতিরোধের চেষ্টা করে। তবে স্থানীয়দের সংখ্যা বেশি হওয়ায় শিক্ষার্থীরা বারবার পিছু হটে এবং অনেক শিক্ষার্থী ইটের আঘাতে আহত হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির একজন সদস্যও আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

চবিতে শিক্ষার্থী-জোবরার স্থানীয় ফের সংঘর্ষ, রণক্ষেত্র

শিক্ষার্থীরা বলছেন, সকাল থেকেই সেনাবাহিনী দেখতে পেয়েছি। তবে এক ঘণ্টাব্যাপী অভিযান চালিয়ে তারা চলে গেছেন। এরপরই দুপুর ১২টার দিকে এই সংঘর্ষের শুরু হয়। তারা সুষ্ঠ সমাধান চান। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তারা সফল হননি।

জানা গেছে, শনিবার রাত সোয়া ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এক নারী শিক্ষার্থী ২ নম্বর গেট সংলগ্ন একটি বাসায় ভাড়া থাকেন। ওই শিক্ষার্থী রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাসায় প্রবেশ করতে গেলে দারোয়ানের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে দারোয়ান তাকে মারধর করেন।

এ ঘটনায় খবর পেয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থী সেখানে গেলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে স্থানীয়রা শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করলে সংঘর্ষ বাধে। পরে স্থানীয়রা মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালান। অন্যদিকে শিক্ষার্থীরাও বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হল মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষে জড়ান।

চবিতে শিক্ষার্থী-জোবরার স্থানীয় ফের সংঘর্ষ, রণক্ষেত্র

রাত দেড়টার দিকে ২ নম্বর গেট এলাকায় সংঘর্ষ ভয়াবহ রূপ নেয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, এ সময় বহু শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে আহত করা হয়। এ সংঘর্ষে অন্তত ৬০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে গুরুতর আহত ২০–২১ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে সংঘর্ষের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে জানিয়ে চবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয়দের হামলার ঘটনায় বহু শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে অনেকের আজ পরীক্ষা ছিল। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।’

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp
Share on email