নির্বাচন নিয়ে প্রস্তুত সেনাবাহিনী, ইসির নির্দেশনার অপেক্ষা

নির্বাচন নিয়ে প্রস্তুত সেনাবাহিনী, ইসির নির্দেশনার অপেক্ষা

আগামী ফেব্রুয়ারিতে হতে যাওয়া জাতীয় নির্বাচনকেন্দ্রিক দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত সেনাবাহিনী। তবে এ বিষয়ে সরকার থেকে বার্তা পেলেও এখনো নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা পায়নি সেনাবাহিনী। তবে শিগগিরই ইসির নির্দেশনা পাওয়া যাবে বলে আশা করছে সেনাসদর।

সেনাবাহিনীর মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের কর্নেল স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম আজ সোমবার দুপুরে ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেসে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশনার আলোকে সেনাবাহিনী নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কাজ করবে।

সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে কর্নেল শফিকুল বলেন, ‘কমিশন থেকে আমরা অচিরেই নির্বাচনের নির্দেশনা পাব। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা মাঠে কাজ করব। ইতিমধ্যে আমাদের নিজেদের প্রস্তুতি রয়েছে।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন এবং ব্যালট ছিনতাইয়ের আশঙ্কা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। সে সম্পর্কে সেনাবাহিনীর অবস্থান জানতে চাইলে কর্নেল শফিকুল বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচনের সঙ্গে সেনাবাহিনীর কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তবে এই নির্বাচন গণতন্ত্রের চর্চায় ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্বাস করে সেনাবাহিনী।’

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কিছু কর্মকর্তা সামাজিক মাধ্যমে ‘বিভ্রান্তিকর’ তথ্য ছড়াচ্ছেন—এমন অভিযোগ নিয়ে তিনি বলেন, ‘তাদের উদ্দেশ্য মানুষ জানে। এসব প্রোপাগান্ডা কেউ বিশ্বাস করে না। সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’

গত ৫ আগস্ট হারানো অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে কর্নেল শফিকুল বলেন, ‘ইতিমধ্যে ৮০ শতাংশ অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। বাকিগুলোও দ্রুত সময়ের মধ্যে উদ্ধার করা সম্ভব হবে।’

দেশজুড়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এটা কেবল সেনাবাহিনীর কাজ নয়। সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। কোথাও কোথাও কিছুটা সমন্বয়হীনতা দেখা গেছে। যেমন—পুলিশ জানে না, সেনাবাহিনী জানে না—তখন কিছুটা দেরি হয়। তবে সেনাবাহিনী মাঠে নামলেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।’

সারা দেশে ছড়িয়ে পড়া মব (গণপিটুনি) পরিস্থিতি সম্পর্কে কর্নেল শফিকুল জানান, সোর্স থেকে তথ্য পেতে দেরি হওয়ায় কখনো কখনো ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে সময় লাগে। তবে সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে কখনো মব হতে দেওয়া হয়নি। রাজবাড়ীতে কবর থেকে লাশ উত্তোলনের ঘটনায় সেনাবাহিনী দেরিতে পৌঁছায়—এ অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পরে সেনাবাহিনী উপস্থিত হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।’

মুক্তিযোদ্ধাকে অপমানের ঘটনা প্রসঙ্গে সেনাবাহিনীর অবস্থান স্পষ্ট করে তিনি বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যই এই দেশটির জন্ম। তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান সব সময়ই রাখে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।’

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp
Share on email