
প্রধান উপদেষ্টার সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলওয়ে বিষয়ক বিশেষ সহকারী ড শেখ মইনউদ্দিন বলেছেন,বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ-বিআরটিএসহ যোগাযোগ খাতের সকল প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বাড়াতে ও বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে হবে। খন্ড খন্ডভাবে একেকটি সংস্থার মহাপরিকল্পনা আছে। তবে সড়ক রেল নৌ এ তিন খাতের জন্য সমন্বিত মহাপরিকল্পনা করা হচ্ছে। এ মাসের শেষে এটির খসড়া প্রধান উপদেষ্টার কাছে উপস্থাপন করা হবে।
রবিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর রেল ভবনে রিপোর্টার্স ফর রেল অ্যান্ড রোড (আরআরআর) সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন নিজ নিজ সংস্থার বিভিন্ন সমস্যা ও উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ, ঢাকা যানবাহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ-ডিটিসিএ এর নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আক্তার, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মইনুল হাসান।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারি জানান, ‘ র্যাপিড পাস ও এমআরটি পাসের টপ-আপ ঘরে বসে করার কাজ দু সপ্তাহের মধ্যেই শুরু হবে। ইটিসি টোল নিয়ে আমরা কাজ করছি। রাজধানীর সাতটি পয়েন্টে অটোমেটিক ট্রাফিক সিগন্যালিং ব্যবস্থা বসানো হয়েছে। আরও ১৬ টির সিগন্যালের কাজ চলছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিআরটিএ এর চালক প্রশিক্ষণ কর্মসুচি ও লাইসেন্স সেবা আমাদের দায়িত্বপালনকালেই আরো উন্নত করার চেষ্টা চলছে। গাজীপুর-বিমানবন্দর বাস র্যাপিড ট্রানজিট বা বিআরটি প্রকল্প বাতিল হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে শেখ মইনুদ্দিন বলেন, ‘আমাদের সরকারের আমলে এটি আর আমরা আগাতে চাচ্ছি না। এটি এখানে শেষ করে দেওয়া হবে। বিআরটি প্রকল্প আর হচ্ছে না এটি সাধারণ চার লেনের সড়ক হিসেবে চালু করা হবে’।
মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন বলেন, ‘রেলের আয় বাড়ানোর জন্য আমরা চেষ্টা করছি। গতবারের চেয়ে এবারের আয় বেশি হবে। আমাদের রোলিং স্টকের সংকট নিরসনের চেষ্টা করা হচ্ছে। রিপোর্টার্স ফর রেল অ্যান্ড রোডের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সহ-সভাপতি পার্থ সারথি দাস, সাধারণ সম্পাদক তাওহীদুল ইসলামসহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা সভায় বক্তব্য রাখেন।