‘আমেরিকার প্রিন্সেস ডায়ানাকে স্বাগত,’ প্রশংসায় ভাসছেন মামদানির স্ত্রী

‘আমেরিকার প্রিন্সেস ডায়ানাকে স্বাগত,’ প্রশংসায় ভাসছেন মামদানির স্ত্রী

‘আমেরিকায় যেন প্রিন্সেস ডায়ানা ফিরে এসেছেন’! নিউ ইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে জোহরান মামদানির ঐতিহাসিক জয়ের পরে এই প্রথম সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন তার স্ত্রী রামা দুয়াজি। তার পরেই নেটিজেনদের প্রশংসা বার্তায় ভাসছেন সিরিয়ান শিল্পী। কেউ তাকে বলছেন-‘প্রিন্সেস ডায়ানা’ আবার কেউ তাকে চিহ্নিত করেছেন, ‘ফার্স্ট লেডি’ বলেও। বছর ২৮-এর রামাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বড় একটা দেখা যায় না। এড়িয়ে চলেন স্পটলাইট।

নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরে এই প্রথম নিজের ইনস্টাগ্রামে সেই সংক্রান্ত একটি পোস্ট করেছেন নিউ ইয়র্কের নতুন মেয়রের স্ত্রী। সম্প্রতি ‘নিউ ইয়র্ক সিটির বাসিন্দা হিসেবে গর্বিত’ বলে একটি সাদা-কালো ইলাস্ট্রেশন শেয়ার করেন রামা। তাতে রয়েছে শহরের পরিচিত একটি স্কাইলাইনের স্কেচ। যার নীচে লেখা, ‘আই লাভ ইউ এনওয়াইসি’। তার পর থেকেই কমেন্ট বক্স উপচে পড়ছে অভিনন্দনে। কেউ তাঁকে লিখেছেন-‘গর্জাস রামা, উই লাভ ইউ’। আবার কারও কথায়, ‘আমেরিকার প্রিন্সেস ডায়ানাকে স্বাগত।’

মামদানির প্রচারে খুব একটা প্রকাশ্যে আসেননি তিনি। তবে জয়ের পরে বক্তৃতা মঞ্চে ভক্তদের মন জিতে নিয়েছেন নয়া মেয়রের স্ত্রী। তার ভূমিকা ও প্রতিনিয়ত সমর্থন কী ভাবে এই সাফল্য এনে দিয়েছে, সে কথা স্বীকার করে স্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানান মামদানি। প্রচারের সময়ে নিঃশব্দেই কাজ করে গিয়েছেন রামা। কখনও তিনি বানিয়ে দিয়েছেন মামদানির মতাদর্শ অনুযায়ী লোগো। কখনও ডিজাইন করে দিয়েছেন নিউ ইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়রের সোশ্যাল মিডিয়া স্ট্র্যাটেজি।

ন’বছর বয়সে টেক্সাস থেকে বাবা-মার সঙ্গে দুবাই চলে যান সিরিয়ান-আমেরিকান শিল্পী রামা। সেখানেই আর্ট নিয়ে পড়াশোনা করেন। বছর চারেক আগে নিউ ইয়র্কে আসেন। তার পরেই ডেটিং অ্যাপে আলাপ হওয়ার পরে মামদানির সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর মধ্যেই আবার সামনে এসেছে, তার নামের একটি ফেক অ্যাকাউন্ট। ১৪ হাজারের উপরে ফলোয়ার্স-এর ওই অ্যাকাউন্টের স্ক্রিনশট তুলে রামা পোস্ট করেছেন-‘এটা আমি নই’।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp
Share on email