জনগণের ভোটে নির্বাচিত হওয়ার সামান্যতম সম্ভাবনাও না থাকায় জামায়াত এখন প্রকাশ্যে প্রশাসনকে অধীনস্থ করার হুমকি দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর।
জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরীর সাম্প্রতিক বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও সমালোচনা করে তিনি বলেন, এটাই জামায়াতের আসল চরিত্র। শাহজাহান চৌধুরীর বক্তব্যে গণতন্ত্র, নির্বাচন ও প্রশাসনিক নিরপেক্ষতার প্রতি প্রকাশ্য অবজ্ঞা প্রকাশ পেয়েছে। এটি সরাসরি রাষ্ট্রযন্ত্র নিয়ন্ত্রণের ঘোষণা। এমন বক্তব্য দিয়ে তারা দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। এই বক্তব্য শোনার জন্য জুলাই আন্দোলনে ছাত্র জনতা রক্ত দেয় নাই। এটি গণতন্ত্রকে উপহাস করা ছাড়া আর কিছুই নয়। স্কুল কলেজের শিক্ষক, প্রশাসন, ওসি, পুলিশসহ সরকারি বেসরকারি সব স্তরের মানুষকে নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পরিকল্পনা, এটি রাজনৈতিক গুণ্ডামিরই প্রকাশ। মুলত জনগনের ভোটে নির্বাচিত হবেনা জেনে জামায়াত প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রন নিতে চায়। মুক্তিযুদ্ধবিরোধী জামায়াতকে প্রশাসন নিয়ে কথা বলতে লজ্জা পাওয়া উচিত।
তিনি সোমবার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে নগরীর ধনিওয়ালা পাড়া বায়তুশ শরফ জামে মসজিদের সামনে চট্টগ্রাম ৯ সংসদীয় আসনের ভোটারদের ধানের শীষ প্রতীকে ভোট প্রদানে উৎসাহিত করে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নে জনমত গঠনের লক্ষ্যে পাঠানটুলী ওয়ার্ড এলাকায় গনসংযোগ পূর্ববর্তী পথসভায় এসব কথা বলেন।
তিনি নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে বায়তুশ শরফ জামে মসজিদের সামনে থেকে শুরু করে ডিটি রোড়, শেখ মজিব রোড়, চৌমহনী, পাঠানটুলী রোড় ও কদমতলী দস্তগীর চত্তর এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে লিফলেট বিতরন ও গণসংযোগ করেন।
তিনি বলেন, অতীতেও জামায়াত বিভিন্ন স্বৈরাচারী শক্তির হাত ধরে প্রশাসনের সুবিধা পেয়েছে। স্বৈরাচার এরশাদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে জামায়াতই ছিল প্রধান রাজনৈতিক সহযোগী। সেই জামায়াত আজ গণতন্ত্রের কথা বলে জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। জনগণের ভোটে জামায়াত কখনোই শক্ত অবস্থানে নেই। তাই তারা প্রশাসনকে ‘আন্ডারে নেওয়ার’ ঘোষণা দিয়ে ভোটকে প্রভাবিত করার অপচেষ্টা করছে। এটা স্পষ্ট, জনগণের রায় নিয়ে নয়, তারা ক্ষমতায় যেতে চায় ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে। জামায়াত গণতন্ত্র চায় না, তারা শুধু শর্টকাট ক্ষমতা চায়। জনগণের ভোটের মাধ্যমে নয়, প্রশাসনকে ভয় দেখিয়ে ও প্রভাবিত করে ক্ষমতায় যাওয়া তাদের পুরনো কৌশল।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের ভোটাররা এখন সচেতন। ১৯৭১-এর ইতিহাস যারা অস্বীকার করে, যারা বারবার দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে, তাদের কথা জনগণ বিশ্বাস করে না। জামায়াতের মুখোশ উন্মোচনে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
২৩ নং পাঠানটুলী ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক আবদুর হালিমের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এম এ হাসনাতের পরিচালনায়এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক নিয়াজ মোহাম্মদ খাঁন, মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ফাতেমা বাদশা। উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সাবেক সহ ক্রীড়া সম্পাদক মোস্তাফিজুর রজমান বুলু, ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক আহবায়ক হাজী মো. মহসিন, ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সুলতান মাহমুদ খান সুমন, যুগ্ম আহবায়ক আকবর কবির ডিউক, সিরাজুল ইসলাম, সিরাজুল মোস্তফা, আব্বাস উদ্দিন, মো. আজাদ, আবু তাহের, মো আলী, সদস্য মো. শাহজাহান, মো. আজাদ, আনু মিয়া বাবুল, মো. হাসান, মো. নাছির উদ্দীন, আমির উদ্দিন বাবুল, মো. আজিম, অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মজিবুর রহমান মজিব, মো. ইদ্রিস, মো. নূর মো. রুবেল, আকরাম খাঁন, মো. জনি খান, মো. খোকন, মো. ফরুক, মো. ফরিদ, মো. কাশেম, আনোয়ার হোসেন আনু, মো. আলমগীর, মো. জাহেদ, দেলোয়ার হোসেন, মো. আরিফ, মো. নবী, মো. আরফান প্রমুখ।