
মধ্যরাতে বঙ্গোপসাগরে ভূমিকম্পের কারণে কেঁপে উঠেছে কক্সবাজারের টেকনাফ শহর। ভূকম্পন বিষয়ে তথ্য সরবরাহকারী ওয়েবসাইট ‘ভলকানো ডিসকভারি’ জানিয়েছে, টেকনাফে ভূমিকম্পের কম্পন ছিল এতটাই হালকা যে, বেশিরভাগ মানুষ এটি টের পাননি।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) রাত ৩টা ২৯ মিনিটে ৪ মাত্রার ভূমিকম্পটি সৃষ্ট হয়, টেকনাফ থেকে প্রায় ১১৮ কিলোমিটার দূরে।
ভলকানো ডিসকভারি এখনও ভূমিকম্পের উৎপত্তির গভীরতা সম্পর্কে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারেনি, তবে ইউরোপিয়ান-মিডিটারেনিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) জানিয়েছে যে, ভূমিকম্পটি মাটির ১০ কিলোমিটার গভীরে ঘটেছিল।
এই ঘটনার আগে, ২১ নভেম্বর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ৫.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। সেই ভূমিকম্পটি ছিল গত কয়েক বছরে সবচেয়ে শক্তিশালী। কম্পন এতটাই তীব্র ছিল যে, রাজধানী ঢাকা এবং আশপাশের এলাকা ছাড়াও দেশের অন্যান্য জায়গায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বহু মানুষ ঘর ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন। বিশেষজ্ঞরা জানান, এমন শক্তিশালী ভূমিকম্প আগেও কখনো অনুভূত হয়নি।
উল্লেখ্য, ২১ নভেম্বরের ভূমিকম্পের কারণে নরসিংদীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। অন্তত ১০ জন নিহত হন এবং শতাধিক মানুষ আহত হন। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহরের বহুতল ভবন থেকে লোকজন দ্রুত নিচে নেমে আসার সময় বেশ কিছু স্থানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।
এখনো ভূমিকম্পের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে, এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।







