আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব লিয়াকত আলী মোল্লা বলেছেন, ই–পারিবারিক আদালত দেশে বিচার প্রার্থী মানুষের দুর্ভোগ কমানোর একটি বড় পদক্ষেপ।ডিজিটাল প্রযুক্তি নির্ভর এ আদালতে মামলার আবেদন থেকে প্রতিদিনের কার্যক্রম—সবই অনলাইনে সম্পন্ন হবে।থাকবেনা কোনো কাগজের ব্যবহার।বিচার প্রার্থীদের মুঠো ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে সব কিছু জানিয়ে দেওয়া হবে।
সচিব গতকাল রবিবার চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে ই–পারিবারিক আদালত চট্টগ্রম এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানের বক্তব্যে এইসব কথা বলেন।
সচিব বলেন, চট্টগ্রামের এ পারিবারিক আদালতের মাধ্যমে আইনি সেবা প্রদানে নতুন দিগন্তের সূচনা হলো। ডিজিটাল প্রযুক্তির পাশাপাশি ম্যানুয়া লিকার্যক্রম ও থাকবে।তবেই–পারিবারিক আদালতে নথি হারানোর শঙ্কা কম থাকবে।বিচার প্রার্থীদের যে কোনো মামলার নথি অল্প সময়ের মধ্যে বের করা সম্ভব হবে।অন্য দিকে হয়রানি ও অনে কাংশে কমবে।ই–পারিবারিক আদালতে বিচার প্রার্থীদের মামলার আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তি ও অল্প সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।এতে বিচার কার্যস্বচ্ছ ও ঝামেলা মুক্ত হবে।
সচিব আরো বলেন, যে কোনো স্থান থেকেই বাদী ও বিবাদীরা অনলাইন হাজিরা দিতে পারবেন।নিজস্ব পোর্টালে আইনজীবীর পরিচালিত সব নথি থাকবে এক সঙ্গে।ফলে ব্যবস্থাপনা হবে সহজ।এদিকে যে কোনো জায়গা থেকে লগইন করে নথির কাজ যে কোনো সময়ে খসড়া করে রাখতে পারবেন আইনজীবীরা।নথি জমা দেওয়া, কপি তোলা ও বারবার একই তথ্য প্রস্তুতের কাজ কমবে।
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার বলেন, এটি পেপারলেস আদালত।বিচার কার্যকে আরও দ্রুত, স্বচ্ছ ও ঝামেলা মুক্ত করতে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি ও সফট ও য়্যার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।ই–পারিবারিক আদালত চালু হওয়ায় পারিবারিক বিরোধ দ্রুত নিষ্পত্তি হবে।বছরের পর বছর আদালতে ঘুরতে হবেনা।