জুলাই সনদ বাস্তবায়ন, জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজন এবং জাতীয় সংসদের উভয় কক্ষে পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতি চালুসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনরত আট দলের শীর্ষ নেতারা আগামী ৫ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে আসছেন। সেদিন জুমার নামাজের পর ঐতিহাসিক লালদীঘি ময়দানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান আট দলের নেতারা। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের চট্টগ্রাম নগর আমির জান্নাতুল ইসলামের সভাপতিত্বে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ শাহজাহান।
মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান আদেশ) ২০২৫-এ স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে—দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কাঠামো নির্ধারণে জনগণের মতামতই হবে মুখ্য। সেই লক্ষ্যেই জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজন প্রয়োজন। গণভোট ছাড়া নির্বাচন হলে তা জনগণের প্রকৃত ম্যান্ডেট প্রতিফলিত করবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি দাবি করেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে, গুম-খুনের রাজত্ব কায়েম করেছে এবং গণহত্যা চালিয়েছে—এসবের সুষ্ঠু বিচার না হলে দেশে স্থায়ী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, সবার জন্য সমান সুযোগ এবং নিরপেক্ষ পরিবেশ নিশ্চিত করেই নির্বাচন হতে হবে। জনগণ চাইলে ক্ষমতা দেবে, না চাইলে দেবে না—এটাই গণতন্ত্র। স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের সহযোগী জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের ‘অবৈধ রাজনৈতিক কার্যক্রম’ নিষিদ্ধ করার দাবি জানান তিনি।
বাংলাদেশকে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে আট দলের পাঁচ দফা আন্দোলন অত্যন্ত যৌক্তিক উল্লেখ করে তিনি চট্টগ্রামবাসীকে ৫ ডিসেম্বরের সমাবেশ সফল করার আহ্বান জানান।
সমাবেশে বক্তৃতা দেবেন, জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান, ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, নেজামে ইসলাম পার্টির আমির অধ্যক্ষ মাওলানা সরওয়ার কামাল আজিজী, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, জাগপার সহ-সভাপতি ও মুখপাত্র ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান, খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজী, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এ কে এম আনোয়ারুল ইসলাম চানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।