বিএনপি চেয়ারপার্সন, সাবেক তিন বারের প্রধানমন্ত্রী আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কোনো আসনেই পরাজিত না হওয়ার অনন্য রেকর্ডের অধিকারী। তিনি ১৯৯১ থেকে ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচনগুলোতে পাঁচটি পৃথক সংসদীয় আসনে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৮ সালে, তিনি যে তিনটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন সেখানে তিনি জয়লাভ করেছিলেন। পলাতক ফ্যাসিস্ট হাসিনাও নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিলেন দুইবার। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া’র জনপ্রিয়তাই হাসিনার রোষানলে পরার অন্যতম কারণ। ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার হয়েই হাসিনা কি করে নাই খালেদা জিয়াকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য। মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাগারে প্রেরণ অন্যদিকে হাসিনার অনুগত পেইড সাংবাদিক নামধারী নরকিটদের দিয়ে রাতের বেলায় টক শো’র নামে জিয়া পরিবারকে ছোট করার কতো শতো অপপ্রচার দেশবাসী সহ সারাবিশ্ব দেখেছে।
“দেশত্যাগ অথবা কারাগার— আওয়ামী লীগ সরকারের এমন শর্তের সামনে দাঁড়িয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বেছে নিয়েছিলেন কারাগার। বিনা অপরাধে তাকে বন্দি করা হয়। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বাস্তবায়ন করতে এক-এগারোর সেনাসমর্থিত সরকারের দায়ের করা মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশি রায় ঘোষণা করা হয়।”
“নির্জন কারাগারে একাকী তিন বছর কাটান তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। অসুস্থতা তাকে কাবু করলেও, মাথা নত করেননি। তার পরিবারের পক্ষ থেকে বিদেশে চিকিৎসার আবেদন বারবার নাকচ করে দেয় ফ্যাসিস্ট হাসিনার সরকার।” তাঁর আপোষহীন নেতৃত্ব সারাজীবন এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রেরণা হয়ে থাকবে।
“২৫ মার্চ ২০২১, সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পান দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। কিন্তু এটি ছিল একধরনের গৃহবন্দিত্ব। চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে চাইলেও, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার শর্ত দেয়-রাজনীতি ছাড়তে হবে! কিন্তু আপোসহীন বেগম খালেদা জিয়া তাতে রাজি হননি।”
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট, বাংলাদেশের ইতিহাসে এক নতুন সকাল। ফ্যাসিবাদের পতন চূড়ান্ত হয়। নির্যাতন ও গৃহবন্দিত্বের অবসান ঘটে, মুক্তি পান নিরপরাধ খালেদা জিয়া। গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম দিনেই বাংলাদেশের জনগণ তাদের নেত্রীকে স্বাগত জানায়, ফিরে আসে ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্রের স্বপ্ন।
হাসিনার রোষানলে পড়ে সাজানো মিথ্যা দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান খালেদা জিয়া। দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হলে ছয় মাসের জন্য সাজা স্থগিত করে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়াকে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেয় সরকার। তিনি বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং বিদেশে যেতে পারবেন না, এমন শর্তে সাজা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সেই থেকে বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি। এর মধ্যে কয়েক দফায় লিভার সিরোসিস, হার্টের জটিলতাসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন।
বর্তমানে এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মা ও মানুষের প্রিয় নেত্রী বেগম জিয়া। চীন-আমোরিকা-যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৮ কোটি মানুষের প্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
চিকিৎসার পুরো বিষয়টি তদারকি করছেন তারেক রহমান এর সহধর্মিণী ডাঃ জুবাইদা রহমান। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কে নিয়ে বট বাহিনী মিথ্যা গুজব প্রপাগাণ্ডায় লিপ্ত। খুব শীঘ্রই দেশে আসবেন সম্ভবত আগামী সপ্তাহেই অসুস্থ মায়ের পাশে স্বপরিবারে চলে আসবেন তারেক রহমান।
রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা সহ সবাই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দোআর আবেদন করেছেন সমগ্র জাতির কাছে। এরই মধ্যে বেগম জিয়া কে ভিভিআইপি ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করেছে অন্তর্বতী সরকার। নিরাপত্তায় এসএসএফ সদস্যরা কাজ শুরু করেছে। বিএনপির নেত্রী আজ দল-মতের উর্ধ্বে সমগ্র জাতির নেতায় পরিণত হয়েছেন। সারা জাতি আজ দেশনেত্রীর জন্য প্রার্থনারত।
মসজিদ মন্দির মাদ্রাসা গির্জা সব ধর্মের মানুষই বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য যার যার অবস্থান থেকে প্রার্থনা করছেন। বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবকদল সহ সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা সারা দেশব্যাপী খতমে কুরআন, দোয়া মাহফিল পালন করছেন। বিভিন্ন সামাজিক, পেশাজীবি অরাজনৈতিক সংগঠনও খতমে কুরআন, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করছে, ব্যক্তি পর্যায়েও গরু-ছাগল সদকা সহ দোয়া মাহফিল, বোখারী শরীফ খতম, মিলাদ মাহফিল করছে। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারীরাও নিজ নিজ ধর্ম অনুযায়ী বিশেষ প্রার্থনা করছে।সেনা-নৌ-বিমান বাহিনী প্রধান সহ সবাই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া চেয়েছেন।
আঠারকোটি মানুষের দোয়া সুস্থ হয়ে আগামী নির্বাচনে অংশ নিবেন আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এটা সমগ্র দেশবাসীর চাওয়া। ৪০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে একটি খারাপ শব্দ যার মুখ দিয়ে বের হয় নাই এমন মানুষ, এমন নেতা এই দুনিয়ায় খোঁজে পাওয়া দুষ্কর। বেগম খালেদা জিয়া এদেশের জনগণের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন নিজের যোগ্যতায়, কর্মগুনে। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বেগম খালেদা জিয়া কে পরিপূর্ণ সুস্থতা দান করুন-আমিন।
ধন্যবাদান্তে
মোঃ জহিরুল ইসলাম (জহির)
বি.এস.সি ইন ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং,
এল.এল.বি
সাবেক সহ দপ্তর সম্পাদক
চট্টগ্রাম মহানগর যুবদল।
মোবাইল: ০১৮১৯৬১৭৩৮০
E-mail: [email protected]