এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১২টায় এবং লন্ডনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় হিথরো বিমানবন্দর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-৩০২ ফ্লাইটে করে তিনি দেশের উদ্দেশ্যে রওনা করেন। এ সময় মা’কে বিদায় জানান মেয়ে জাইমা রহমান।

গত বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) ঢাকাস্থ কাতার দূতাবাস থেকে জানানো হয়, বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার জন্য দেশটির আমিরের বিমান, কাতার এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রয়েছে। চিকিৎসকদের সম্মতি পেলেই কাতার থেকে সেটি রওনা হবে। তবে শুক্রবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণমাধ্যমকে বলেন, “কারিগরি ত্রুটির কারণে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স (কাতারের পাঠানো) শুক্রবার আসছে না। সব ঠিক থাকলে সেটা শনিবার পৌঁছাতে পারে। ম্যাডামের (বেগম জিয়া) শরীর যদি যাত্রার উপযুক্ত থাকে এবং মেডিকেল বোর্ড যদি সিদ্ধান্ত দেয়, তাহলে ইনশাল্লাহ ৭ তারিখ (রোববার) ফ্লাই করবেন।”

বিএনপি’র মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন জানিয়েছেন, ডা. জুবাইদা রহমান সরাসরি এভারকেয়ার হাসপাতালে চলে যাবেন। যন্ত্রাংশগত ত্রুটির কারণে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের আসার বিষয়টিও বিলম্ব হতে যাচ্ছে। এতে জুবাইদা রহমানেরও লন্ডন যাত্রার সময় বাড়ছে। কারণ, তিনি বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে যুক্তরাজ্যে যাবেন।

খালেদা জিয়ার সঙ্গে চিকিৎসকসহ মোট ১৮ জন সফরসঙ্গী হিসেবে লন্ডনে যাবেন। তারা হলেন, খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী ড. জুবাইদা রহমান, ছোট ছেলে কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শামীলা রহমান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ এনামুল হক চৌধুরী, ড. ফখরুদ্দীন মোহাম্মদ সিদ্দিকী, ড. শাহাবুদ্দীন তালুকদার, ড. নুরুদ্দীন আহমদ, ড. রিচার্ড বিলি, ড. জিয়াউল হক, ড. জাফর ইকবাল, ড. মোহাম্মদ আল মামুন।

আরও থাকবেন হাসান শাহরিয়ার ইকবাল, সৈয়দ শামীন মাহফুজ, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সহকারী মো. আব্দুল হাই মল্লিক, সহকারী ব্যক্তিগত সচিব মো. মাসুদার রহমান, গৃহকর্মী ফাতেমা বেগম এবং গৃহকর্মী রুপা শিকদার।