
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত থেকে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তাকে দেশে ফেরানোর জন্য ভারত সরকারের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে এখনও ভারতের পক্ষ থেকে কোনো ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে রংপুর সফরে এসে রংপুর সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এ ধরনের বিষয় দ্রুত সমাধান হয়নি। ভারতের পক্ষ থেকে কী প্রতিক্রিয়া আসে, তা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত শুধু জানা গেছে, ভারত বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে।
তারেক রহমানের দেশে ফেরা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তারেক রহমান সাহেব কবে দেশে ফিরবেন- এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। তার স্ত্রী (ডা. জুবাইদা রহমান) সম্ভবত ঢাকায় পৌঁছেছেন।
আজ বেগম জিয়াকে লন্ডনে নেওয়া হচ্ছে না, কারণ জানা গেছে বিমানটিতে টেকনিক্যাল সমস্যা রয়েছে।
আরাকান আর্মির হাতে জেলেদের আটকের বিষয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, আরাকান আর্মিরা কোনো রাষ্ট্রীয় পক্ষ নয়। তাই চাইলে তাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা সম্ভব হয় না। তবে আমাদের স্বার্থ জড়িত থাকায় বিষয়টি দেখা হচ্ছে। সবকিছু প্রকাশ করা যায় না, তবে যেন এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে বা কম ঘটে- সেজন্য কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, চীনের অর্থায়নে ঢাকায় এক হাজার শয্যার একটি হাসপাতাল নির্মাণের কথা ছিল। সরকার সেটি নীলফামারীতে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরিকল্পনা করা হয়েছে এমনভাবে, যাতে রংপুর অঞ্চলের পাশাপাশি ভারত, ভুটানসহ অন্যান্য দেশের মানুষও এখান থেকে চিকিৎসা নিতে পারে। রংপুর অঞ্চলে কলকারখানা ও ব্যবসা-বাণিজ্য কম, এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কর্মসংস্থান। তাই কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ চলছে।
উপদেষ্টা বলেন, আমরা চাই দেশের দায়িত্ব নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে এমনভাবে দিয়ে যেতে, যাতে তারা এক থেকে দেড় বছরের মধ্যেই দেশকে কাঙ্ক্ষিত পথে এগিয়ে নিতে পারে। মানুষের অনেক প্রত্যাশা- আমরা যেন সব রিফর্ম শেষ করে যাই।
কিন্তু এটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। যারা ভবিষ্যতে ক্ষমতায় আসবেন, তারা যেন জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে পারেন। আমরা আশা করি তারা দেশে সর্বত্র সমতা ও সুষম উন্নয়ন নিশ্চিত করবেন।







