এনামুল হক চৌধুরী বলেন, ‘ম্যডামের মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তক্রমে কাতারের রয়েল অ্যাম্বুলেন্স বাংলাদেশ আসবে। সেই ভাবে তারা এখন প্রস্তুত রয়েছে।’
‘এখন মেডিকেল বোর্ড যখনই সিদ্ধান্ত জানাবে তখনই এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায় আসবে এবং ম্যাডাম বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন নিয়ে যাবে। সব কিছুই কাতার কর্তৃপক্ষ অ্যারেজমেন্ট করেছে।’
জার্মানি থেকে অ্যাম্বুলেন্স আনার বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে খোলাশা করে তিনি বলেন, ‘জার্মানি থেকে অ্যাম্বুলেন্স … এটা ঠিক আছে। আমরা নই, কাতার কর্তৃপক্ষই জার্মানি থেকে একটি অত্যাধুনিক এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের এরেঞ্জমেন্টটা করে দিচ্ছে।’
‘অর্থাৎ বিএনপি চেয়ারপারসন ও বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জন্য রয়েল কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়নে সব কিছু হচ্ছে। এখানে আমাদের কিছু নেই।’
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের মতোই আছে। মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে বেগম খালেদা জিয়াকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসার কাজ করছে।
একাধিক চিকিৎসকের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, বিএনপি চেয়ারপারসন এখনো ফ্লাই করার সমক্ষমতা অর্জন করেনি। সেজন্য লন্ডন যাত্রা বিলম্ব হচ্ছে। তবে তারা জানান, গত দুই দিনে মেডিকেল বোর্ড কিছু পরীক্ষা করেছে, তার প্রতিবেদনও তারা পর্যালোচনা করছেন। শুক্রবার দুই দফা মেডিকেল বোর্ডের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিদিনই বোর্ডের সভায় খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার নিয়মিত প্রতিবেদনগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
গত ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসা দিচ্ছেন। এই মেডিকেল বোর্ডে তারেক রহমানের সহধর্মিনী ডা. জুবাইদা রহমানও সদস্য। শুক্রবার তিনি লন্ডন থেকে ঢাকায় এসেছেন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন নিয়ে যেতে।
