
শহীদ শরীফ ওসমান বিন হাদির (ওসমান হাদি) মৃত্যুকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে উদ্ভূত সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ ও জানমাল ধ্বংসের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
সরকার স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে, বাংলাদেশ বর্তমানে একটি ঐতিহাসিক গণতান্ত্রিক রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। যারা এই বিশৃঙ্খলাকে পুঁজি করে শান্তির পথকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়, তাদের কারণে এই অগ্রযাত্রা কোনোভাবেই ব্যাহত হতে দেওয়া হবে না। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট কেবল রাজনৈতিক অনুশীলন নয়, বরং এটি সেই জাতীয় অঙ্গীকারের অংশ যার জন্য ওসমান হাদি নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। হাদির স্মৃতির প্রতি সম্মান জানাতে হলে সবাইকে সংযম ও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে।
হামলার শিকার সংবাদমাধ্যমের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “দ্য ডেইলি স্টার, প্রথম আলো ও নিউ এজ-এর সাংবাদিকদের ওপর হামলা মানেই সত্যের ওপর হামলা। আমরা আপনাদের পাশে আছি এবং এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার জন্য গভীরভাবে দুঃখিত।” সরকার ক্ষতিগ্রস্ত সাংবাদিকদের পূর্ণ ন্যায়বিচারের আশ্বাস দিয়ে তাঁদের সাহস ও সহনশীলতার প্রশংসা করেছে।
পাশাপাশি ময়মনসিংহে এক হিন্দু ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গভীর নিন্দা প্রকাশ করেছে সরকার। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘নতুন বাংলাদেশে’ এ ধরনের কোনো নৃশংস অপরাধের স্থান নেই এবং এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। উসকানি ও ঘৃণাকে প্রত্যাখ্যান করে শহীদ হাদির আদর্শ সমুন্নত রাখতে নাগরিকদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিপ্লবী তরুণ নেতা ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদির শাহাদাতকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট এই সংকটময় মুহূর্তে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখাই এখন সরকারের প্রধান অগ্রাধিকার। সহিংসতা প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।







