গত ১২ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে চক্রান্তকারী সন্ত্রাসীদের গুলিতে গুরুতর আহত ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক জনাব এরশাদ উল্লাহ এবং সদস্য সচিব জনাব নাজিমুর রহমান। আজ এক শোকবার্তায় নেতৃদ্বয় বলেন, জুলাই বিপ্লব ও পরবর্তী সময়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে শরিফ ওসমান হাদির সক্রিয় ভূমিকা, আপসহীন অবস্থান এবং সাহসী নেতৃত্ব এই দেশের ছাত্র-জনতার হৃদয়ে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। একটি ন্যায়ভিত্তিক, গণতান্ত্রিক ও বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণে তার যে ত্যাগ, নিষ্ঠা ও আদর্শিক সংগ্রাম ছিল, তা তরুণ প্রজন্মের জন্য আজীবন অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
নেতৃদ্বয় আরও বলেন, শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যু কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়; এটি একটি সুপরিকল্পিত ও সুদূরপ্রসারী নীলনকশার অংশ হিসেবে সংঘটিত নৃশংস রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড। তার কণ্ঠ স্তব্ধ করতেই এই নির্মম হামলা চালানো হয়েছে, যা গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমনের অপচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়।
শোকবার্তায় নেতৃদ্বয় গভীর উদ্বেগের সঙ্গে উল্লেখ করেন, হাদির মৃত্যুকে পুঁজি করে একটি স্বার্থান্বেষী মহল দেশব্যাপী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়ে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও রাহাজানির মতো জঘন্য অপতৎপরতা চালাচ্ছে। দুষ্কৃতকারী এসব দুবৃত্ত আবারও দেশে দুঃশাসন কায়েম করতে রক্ত ঝরাচ্ছে। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা, ভোটাধিকার হরণ এবং আসন্ন নির্বাচনকে বানচাল করাই এই সন্ত্রাসী তৎপরতার মূল লক্ষ্য।
নেতৃদ্বয় সতর্ক করে বলেন, এসব দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে দেশের সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে। তাই দেশপ্রেমিক সকল গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই রক্তপিপাসু সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
নগর বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব হাদি হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতার, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিতকরণ এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান। একই সঙ্গে তারা নিহত শরিফ ওসমান হাদির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার ও পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।