
লাখো মানুষের অশ্রুসিক্ত বিদায় আর গভীর শ্রদ্ধায় সম্পন্ন হলো জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম শীর্ষ সংগঠক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরীফ ওসমান বিন হাদির (ওসমান হাদি) নামাজে জানাজা।
জানাজায় ইমামতি করেন শহীদ হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক। জানাজায় অংশ নিতে আসা মানুষের ঢলে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও সংসদ ভবন এলাকা এক বিশাল জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
ছাত্র-জনতা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য এবং সাধারণ মানুষ দূর-দূরান্ত থেকে এসে এই জানাজায় শরিক হন। জানাজা শুরুর আগে পুরো এলাকায় এক পিনপতন নীরবতা নেমে আসে, যা প্রিয় নেতাকে হারানোর শোকের গভীরতা ফুটিয়ে তোলে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষিত এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোকের আবহেই এই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজাস্থলে সরকারের পক্ষ থেকে মরহুমের প্রতি পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। উপস্থিত শোকার্ত জনতা এ সময় ‘শহীদ হাদি অমর হোক’ এবং ‘জুলাইয়ের চেতনা বৃথা যেতে দেব না’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন।
জানাজাকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নজিরবিহীন নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। ডিএমপির এক হাজার বডি ওর্ন ক্যামেরাসহ পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা পুরো এলাকার শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত ছিলেন। কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ছাড়াই অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে জানাজার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়।
জানাজা শেষে শহীদ ওসমান হাদির মরদেহ নিয়ে একটি বিশাল শোক মিছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। পূর্বনির্ধারিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তাঁকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হবে।







