সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে স্বদেশে ফিরছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
সব ঠিক থাকলে আগামী বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন। তার এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, তারেক রহমান লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সোয়া ৬টায় (স্থানীয় সময়) বিজি-২০২০ ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন। তার সফরসঙ্গী হিসেবে থাকছেন স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান, কন্যা জাইমা রহমানসহ আরও পাঁচজন।
এমনকি তার আদরের পোষা বিড়াল ‘জেবু’ও সঙ্গে ফিরছে। লন্ডনের এক অনুষ্ঠানে নেতাকর্মীদের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নিয়ে তিনি অনুরোধ করেছেন, বিমানবন্দরে তাকে অভ্যর্থনা জানাতে যেন ভিড় না করা হয়।
তারেক রহমানের আগমন উপলক্ষে রাজধানীর খিলক্ষেতের ৩০০ ফিট এলাকায় এক বিশাল গণসংবর্ধনার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। এ লক্ষ্যে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কাছ থেকে ইতোমধ্যে অনুমতিও মিলেছে। তাঁর জন্য ঢাকায় থাকার ঘরও সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ওয়ান-ইলেভেনের পর ২০০৮ সালে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে যাওয়ার দীর্ঘ ১৭ বছর পর তিনি স্থায়ীভাবে দেশে ফিরছেন।
মা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতার সময় কেন ফিরছেন না এমন সমালোচনার মুখে তারেক রহমান সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়েছিলেন, স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের বিষয়টি তার একক নিয়ন্ত্রণাধীন ছিল না। রাজনৈতিক বাস্তবতা ও পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি অনুকূলে আসার অপেক্ষায় ছিলেন তিনি। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে তার দেশে ফেরায় কোনো আইনি বাধা নেই বলে আগেই নিশ্চিত করা হয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বর্তমান অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তারেক রহমান এঁর দেশে ফেরা দলীয় ঐক্যকে আরও সুসংহত করবে। বিশেষ করে ঢাকা-৮ আসনে শহীদ শরীফ ওসমান হাদি হত্যার পর সৃষ্ট পরিস্থিতিতে তার শারীরিক উপস্থিতি তৃণমূল নেতাকর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করবে এবং আসন্ন নির্বাচনের প্রস্তুতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।