ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা কোথায় অবস্থান করছে— দেশে নাকি দেশের বাইরে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, হত্যাকারীর অবস্থান জানা গেলে তাকে গ্রেফতার করতে আর দেরি হতো না।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। তিনি জানান, হাদি হত্যাকাণ্ডের তদন্তে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে এবং মূল হোতা ফয়সালকে গ্রেফতারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ফয়সালের বাবা-মা, স্ত্রী, শ্যালক এবং মোটরসাইকেল চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনার সঙ্গে জড়িত দালাল চক্রের কয়েকজনকে সীমান্ত এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, চলমান ‘ডেভিল হান্ট ফেজ টু’ অভিযানে এখন পর্যন্ত ৬ হাজার ৯৯৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই অভিযানের মাধ্যমে সন্ত্রাসী ও দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, দৈনিক প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার-এর সম্পাদকদের নিরাপত্তায় গানম্যান দেওয়া হয়েছে এবং তাদের বাসভবনের নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া যাঁদের নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে, তাঁদের অনেককেই নিরাপত্তার আওতায় আনা হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ২০ জনকে গানম্যান দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরলে তাঁর নিরাপত্তা নিয়েও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
পদত্যাগের গুজব প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'পদত্যাগ করলে তো এখানে থাকতাম না।'