দীর্ঘ ১৭ বছর পর বড় ছেলে তারেক রহমানের দেশে ফেরার খবরে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বর্তমানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি এই খুশির সংবাদ পান।
পারিবারিক সূত্র জানায়, কয়েক দিন আগে খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান ও ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন তাকে তারেক রহমানের ফেরার বিষয়টি জানান। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার জানিয়েছেন, সন্তানের দেশে ফেরার খবরে খালেদা জিয়ার মধ্যে মানসিক প্রশান্তি লক্ষ্য করা গেছে এবং বর্তমানে তিনি আগের চেয়ে ভালো বোধ করছেন।
চিকিৎসকদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৮০ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। গত এক মাস ধরে লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তার শরীরে গুরুতর ইনফেকশন থাকায় বর্তমানে উন্নত অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিফাঙ্গাল চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ডা. জিয়াউল হক জানিয়েছেন, শারীরিক অবস্থা আরেকটু উন্নত হলে তাকে সিসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তরের পরিকল্পনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৭ নভেম্বর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে নেওয়া হয়। দেশি-বিদেশি ৩০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড সার্বক্ষণিকভাবে তার স্বাস্থ্যের তদারকি করছে। দীর্ঘ নির্বাসন শেষে তারেক রহমান দেশে ফিরে বিমানবন্দর থেকে সরাসরি গণসংবর্ধনাস্থলে যাবেন এবং সেখান থেকে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসাধীন মাকে দেখতে যাওয়ার কথা রয়েছে।