তারেক রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন

তারেক রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন

দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে মাতৃভূমির মাটিতে পা রাখলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার এই প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক আলোড়ন ও আবেগঘন পরিবেশ। বহু প্রতীক্ষিত এই ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মাঝেও নতুন আশার সঞ্চার করেছে।

আজ সকালে নির্ধারিত সময়ে তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরে পৌঁছামাত্রই তাকে স্বাগত জানান বিএনপির শীর্ষ ও সিনিয়র নেতৃবৃন্দ। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য, কেন্দ্রীয় নেতারা এবং অঙ্গসংগঠনের প্রতিনিধিরা বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। ফুলেল শুভেচ্ছা, স্লোগান ও করতালিতে মুখর হয়ে ওঠে বিমানবন্দর এলাকা।

তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন শুধু একটি ব্যক্তিগত ঘটনা নয়, বরং এটি দেশের রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ সন্তান হিসেবে তারেক রহমান বিএনপির রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছেন। ২০০৭ সালের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তিনি দেশের বাইরে চলে যেতে বাধ্য হন এবং দীর্ঘ সময় প্রবাসে অবস্থান করেন।

নির্বাসিত জীবনে থেকেও দলীয় নেতৃত্ব, সাংগঠনিক নির্দেশনা ও রাজনৈতিক অবস্থান থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলেন না তারেক রহমান। ভার্চুয়াল মাধ্যমে তিনি নিয়মিত দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন এবং গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দিকনির্দেশনা দেন। তার এই ধারাবাহিক সম্পৃক্ততা বিএনপির রাজনীতিতে তাকে একটি কেন্দ্রীয় চরিত্রে পরিণত করেছে।

বিমানবন্দরে সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির এক সিনিয়র নেতা বলেন, তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপির জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। এটি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও রাজনৈতিক সংগ্রামের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে। নেতাকর্মীরাও এই দিনটিকে দলীয় ইতিহাসের এক স্মরণীয় মুহূর্ত হিসেবে দেখছেন।

নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিমানবন্দর এলাকায় নেওয়া হয় বিশেষ ব্যবস্থা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপর উপস্থিতিতে পুরো প্রক্রিয়া শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়।

দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে তারেক রহমানের এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তন আগামী দিনের রাজনীতিতে কী প্রভাব ফেলবে সে দিকেই এখন নজর দেশবাসীর। একদিকে আবেগ, অন্যদিকে প্রত্যাশা সব মিলিয়ে এই প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা হয়ে থাকবে।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp
Share on email