
সাড়ে ১৭ বছরের দীর্ঘ নির্বাসন কাটিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশে প্রত্যাবর্তন বিশ্ব রাজনীতিতে এক নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। আন্তর্জাতিক প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যমগুলো তার এই ফিরে আসাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে পর্যবেক্ষণ করছে।
বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এক বিশেষ প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, বাংলাদেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা নেতা তারেক রহমান দীর্ঘ নির্বাসন শেষে দেশে ফিরেছেন। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে তার এই প্রত্যাবর্তনকে দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনীতিতে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ৬০ বছর বয়সী এই নেতা সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুযোগ্য উত্তরাধিকারী হিসেবে বর্তমানে বিএনপির হাল ধরেছেন। ২০০৮ সাল থেকে লন্ডনে থাকলেও আগামী নির্বাচনে তাঁর দল ক্ষমতায় ফেরার ব্যাপারে যথেষ্ট আশাবাদী।
এদিকে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে নতুন প্রাণের সঞ্চার করেছে। তাকে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক শক্তি ও হবু প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিবেচনা করছে রয়টার্স।
প্রতিবেদনে তার রাজকীয় সংবর্ধনার চিত্র তুলে ধরে বলা হয়, বিমানবন্দর থেকে সংবর্ধনাস্থল পর্যন্ত লাখো মানুষের ঢল প্রমাণ করে যে, দেশের জনমণস্তত্ত্বে তার গ্রহণযোগ্যতা এখনো কতটা সুদৃঢ়।
বিদেশি সংবাদমাধ্যমগুলোর বিশ্লেষণ অনুযায়ী, নতুন বছরে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি যদি একক বৃহত্তম দল হিসেবে জয়ী হয়, তবে তারেক রহমানই হতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের নতুন সরকারপ্রধান। বিশ্বনেতৃত্ব এবং আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক মহল এখন তার নেতৃত্বাধীন বিএনপির রাজনৈতিক গতিপথের দিকে গভীর দৃষ্টি রাখছে।







