দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসন শেষে দেশে ফেরার পর ব্যস্ত সময় পার করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মসূচি সম্পন্ন করে দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে তিনি গুলশানের বাসভবনে ফিরেছেন।
এদিন সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে গুলশানের বাসা থেকে বের হন তারেক রহমান। বেলা ১১টার দিকে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধি এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করেন। এ সময় তিনি শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।
কবর জিয়ারত শেষে তারেক রহমান সরাসরি আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনে যান। দুপুর ১টা ১০ মিনিটে তিনি ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করা এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) জন্য আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ স্ক্যানসহ প্রয়োজনীয় সকল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন।
নির্বাচন কমিশন থেকে বের হয়ে তিনি বনানী কবরস্থানে যান। সেখানে তাঁর ছোট ভাই প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর কবরের পাশে ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করেন। এরপর তিনি পাশের বনানী সামরিক কবরস্থানে তাঁর শ্বশুর সাবেক নৌবাহিনী প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খানের কবর জিয়ারত ও দোয়া করেন।
এসব কর্মসূচিতে তারেক রহমানের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান, প্রো-ভিসি মামুন আহমেদসহ দলের কেন্দ্রীয় ও অঙ্গ-সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।
দিনভর এসব গুরুত্বপূর্ণ কাজ শেষে দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে তাঁর গাড়িবহর গুলশানের ১৯ নম্বর রোডের ১৯৬ নম্বর বাসভবনে (ফিরোজার পাশে) প্রবেশ করে।