এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনে অন্তর্বর্তী সরকার সম্পূর্ণ প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের বিদায়ী সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠকে আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য সংসদীয় নির্বাচন, গণভোট, বাণিজ্য, বেসামরিক বিমান চলাচল এবং অন্তর্বর্তী সরকারের শ্রম সংস্কারসহ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক নিয়ে আলোচনা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। নির্বাচন ও গণভোট উভয় ক্ষেত্রেই আমাদের পূর্ণ প্রস্তুতি রয়েছে। ভোটের আগে শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার যেকোনো অপচেষ্টা কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে।
মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স গত ১৭ মাসে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পূর্ণ সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। বিশেষ করে অন্তর্বর্তী সরকারের শ্রম সংস্কার কর্মসূচির প্রশংসা করে তিনি বলেন, এই পদক্ষেপ বাংলাদেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে সহায়ক হবে। পূর্ববর্তী সরকারের আমলে শ্রমিক নেতাদের বিরুদ্ধে করা ৪৬টি মামলার মধ্যে ৪৫টি প্রত্যাহার করায় তিনি সরকারের প্রশংসা করেন।
জবাবে প্রধান উপদেষ্টা নতুন শ্রম অধ্যাদেশকে একটি ‘চমৎকার আইন’ হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি জানান, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কনভেনশন অনুমোদন ও সংস্কারের এই উদ্যোগকে দেশের শীর্ষস্থানীয় শ্রমিক নেতারা স্বাগত জানিয়েছেন।
বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকট ও মানবিক সহায়তা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়। রোহিঙ্গাদের জন্য একক বৃহত্তম দাতা দেশ হিসেবে অব্যাহত সহায়তা প্রদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান অধ্যাপক ইউনূস। তিনি আশা প্রকাশ করেন, বাস্তুচ্যুত এই বিশাল জনগোষ্ঠীর সহায়তায় ভবিষ্যতে মার্কিন সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি পাবে।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধান উপদেষ্টা ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনকে তাঁর দায়িত্বকালীন গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং তাঁকে ‘বাংলাদেশের বন্ধু’ হিসেবে অভিহিত করেন। বৈঠকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান এবং এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।







