সম্প্রতি কেরানীগঞ্জে একটি ভুঁইফোড় মাদরাসায় বিস্ফোরণ, মুফতি জসিমউদ্দীন রাহমানিকে লক্ষ্য করে বোমা হামলা, কয়েকটি হিন্দু বাড়িতে রহস্যজনক অগ্নিসংযোগ এবং সুনামগঞ্জ সীমান্তে বিস্ফোরক তৈরির ২৪টি ইলেকট্রিক ডেটোনেটর উদ্ধারের ঘটনায় দেশবিরোধী ফ্যাসিস্ট চক্র আবারও ‘জঙ্গি কার্ড’ খেলার পাঁয়তারা করছে বলে মন্তব্য করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা সাজেদুর রহমান।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এ কথা বলেন তারা।
আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা সাজেদুর রহমান বলেন, জনমনে ত্রাস তৈরি করে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন বানচাল করতে এবং শহীদ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবি থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে ফেরাতে দেশবিরোধী ফ্যাসিস্ট চক্র অতীতের মতো আবারও ‘জঙ্গি কার্ড’ খেলতে নেমেছে বলে আমরা মনে করি। এই স্পর্শকাতর সময়ে নানা স্যাবোটাজ ঘটার আশঙ্কা ও সতর্কতা এরইমধ্যে অনেকে প্রকাশও করেছেন।
তারা আরও বলেন, পতিত ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে অসংখ্য জঙ্গি নাটক দেশের জনগণ দেখেছেন। এর নেপথ্যে প্রধানত সাম্রাজ্যবাদী ও আধিপত্যবাদী এজেন্ডা জড়িত। এদেশীয় দোসররা হীন রাজনৈতিক স্বার্থে জঙ্গিবাদের জিগির তোলে। আগ্রাসন বিরোধী প্রতিবাদী আলেম-ওলামা, ইসলামপন্থি ও বাংলাদেশপন্থি শক্তিকে দমনে ‘জঙ্গি কার্ড’ তাদের অন্যতম হাতিয়ার। ফ্যাসিস্ট অপশক্তি আবারও ‘জঙ্গি কার্ড’ খেলার ষড়যন্ত্র করলে তা ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করা হবে-ইনশাল্লাহ। এছাড়া আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ইউনূস সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে।
হেফাজত নেতারা বলেন, আমরা সারা দেশে আমাদের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিচ্ছি, জঙ্গি নাটকের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন বা খারেজি কেউ সংশ্লিষ্ট থাকার প্রমাণ পেলে দ্রুত তাকে আইনের হাতে তুলে দিন। দেশকে অস্থিতিশীল ও জনগণকে ভীতসন্ত্রস্ত করার উদ্দেশ্যে স্যাবোটাজ তথা অন্তর্ঘাতমূলক তৎপরতার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকবে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। তবে এক্ষেত্রে কোনো নিরপরাধ ব্যক্তিকে যেন ফাঁসানো না হয় সেদিকটাও নিশ্চিত করতে হবে। আমরা জঙ্গি নাটকের পুনরাবৃত্তি দেখতে চাই না।