চট্টগ্রামের মানুষের চাওয়াকে গুরুত্বের সঙ্গে মূল্যায়ন করার কথা জানান আবদুল্লাহ আল নোমান পুত্র সাঈদ আল নোমান। মনোনয়নপত্র দাখিল শেষে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে যখন উত্তরাধিকারের কথা আসে, তখনতো এ দায়িত্বের সাথে আরো একটি বিশেষ চাপ যোগ হয়। আমি যেহেতু ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, মনোনয়ন ও নির্বাচন উত্তরাধিকারের সূত্রে হওয়ার কোনো কারণ নেই। এটা আসলে একটা দায়িত্ব। এটা যোগ্যতার ভিত্তিতে ও চট্টগ্রামের মানুষের চাওয়ার ভিত্তিতে। আমি বিশ্বাস করি, চট্টগ্রামের মানুষ যা চেয়েছে, তা হয়েছে। এবং ইনশাআল্লাহ যা চাইবে তা-ই হবে।’
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এসব কথা বলেন। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৬ - এর চট্টগ্রাম-১০ আসনের "ধানের শীষ" প্রতীকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী পাট শ্রমিক দলের সভাপতি, বিএনপি নেতা সাঈদ আল নোমান।এসময় প্রবীণ বিএনপি নেতা চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট বদরুল আনোয়ার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এম এ সবুর, নগর বিএনপির সদস্য মোশারফ হোসেন ডিপ্টি উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আজ যে আমরা সেবা করার যে শপথ নিচ্ছি মনোনয়ন পত্র দাখিল করার মাধ্যমে সেই সেবার কাজটি ও শপথটি যেন আমি মনে রাখি এবং করে যেতে পারি। এর বাইরে কোনো জয়-পরাজয়ের কোনো চিন্তাই মাথায় আসছে না। আমার শুধু আসছে আমার কাজটা। কেননা জনসেবা এই পলিটিক্সের একটা এক্সটেনশান। অথবা উল্টো করে বললে, এই পলিটিক্সটা জনসেবারই একটা এক্সটেনশান। আমি যদি জনসেবা করতে চাই, তাহলে পলিটিক্সের সিংহভাগ কাজ হয়ে যাবে।’
নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পরিবেশ নিয়ে আগাম কিছু তো বলে দেওয়া যায় না। কিন্তু আজ পর্যন্ত যা দেখছি, মানুষ অত্যন্ত স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করছে। তার একটি লক্ষণ আমরা দেখেছি, ২৫ ডিসেম্বর। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, অবিসংবাদিত নেতা তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে কোটি খানেক মানুষ কিভাবে রাজপথে, তিনশ’ ফিটে এভাবে একত্রিত হলো সুশৃঙ্খলভাবে এবং আনন্দ করলো, আমার কাছে তা একটি বিস্ময়। এবং এ বিস্ময়ের মাঝে লুকিয়ে আছে ভবিষ্যতের বাংলাদেশ, সাথে আগামী নির্বাচনের সুবার্তা। আমি মনে করি, পরিবেশ খুব সুন্দর থাকবে যদি না আমরা কোনো ষড়যন্ত্রে পড়ে যাই।’