চট্টগ্রামের বিভিন্নস্থানে বেগম খালেদা জিয়ার গায়েবানা জানাজা

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রামের বিভিন্নস্থানে বেগম খালেদা জিয়ার গায়েবানা জানাজা

চট্টগ্রাম নগরীর জমিয়াতুল ফালাহ জামে মসজিদ মাঠে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার বিকেল সোয়া তিনটার দিকে অনুষ্ঠিত জানাজায় বিএনপির নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং বিপুলসংখ্যক মুসল্লি অংশ নেন।

রাউজান

চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এক গায়েবেনা নামাজে জানাজা রাঙ্গামাটি সড়কে রাউজান কলেজ গেইট থেকে সড়কজুড়ে হাজার হাজার জনতা জানাজায় অংশগ্রহণ করেন।
এ সময় রাউজান উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ নুরুল হুদা চেয়ারম্যান, ফিরোজ আহমেদ, বিএনপি নেতা আবু জাফর চৌধুরী, উত্তর জেলা যুবদলের সহ সভাপতি সাবের সুলতান কাজল, সৈয়দ মনজুরুল হক, হাবিব উল্লাহ মাস্টার সহ জেলা, উপজেলা, পৌরসভার ও বিভিন্ন ইউনিয়ন ওয়ার্ডের বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। বাদে আছর এ জানাজা স্মরনকালের বৃহত্তম জানাজা বলে এলাকা জনসাধারণ জানান।

চবিতে বেগম খালেদা জিয়ার গায়েবানা জানাজা

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।বুধবার দুপুরে জোহরের নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা নামাজে ইমামতি করেন কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব হাফেজ আবু দাউদ মোহাম্মদ মামুন।জানাজার নামাজের আগে বেগম খালেদা জিয়ার আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
এ সময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. শামীম উদ্দিন খান, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক সাইফুল ইসলামসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
সাতকানিয়া
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার গায়েবানা জানাজাকে ঘিরে সৃষ্টি হয় অভূতপূর্ব জনসমাগম। দলীয় সীমারেখা ছাপিয়ে সর্বস্তরের মানুষের ঢলে পুরো উপজেলার প্রাণকেন্দ্র কেরানীহাট এলাকা কার্যত জনসমুদ্রে পরিণত হয়।বুধবার দুপুর ২টায় জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও বেলা ১২টা থেকেই কেরানীহাট, আশপাশের এলাকা থেকে দলে মানুষ জড়ো হতে শুরু করেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে মানবস্রোতে মুখর হয়ে ওঠে পুরো কেরানীহাট চত্বর।

গায়েবানা জানাজায় বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন। একই সঙ্গে রাজনৈতিক পরিচয়ের বাইরে থাকা সাধারণ মানুষ, বয়স্ক মুসল্লি, যুবকদের উপস্থিতিও চোখে পড়ে।গায়েবানা জানাজার নামাজে ইমামতি করেন সাতকানিয়া মডেল মসজিদের খতিব মো. মিজানুর রহমান।

এ সব গায়েবানা জানাজা শেষে বেগম খালেদা জিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এ সময় অনেককে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়। আবেগঘন পরিবেশে অনেক মুসল্লি হাত তুলে আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করেন।

বিএনপি নেতারা বলেন, বেগম খালেদা জিয়া শুধু একটি দলের নেত্রী নন, তিনি গণতন্ত্রের প্রতীক। আজ কেরানীহাটে যে মানুষের ঢল নেমেছে, তা প্রমাণ করে- তিনি এখনো দেশের মানুষের হৃদয়ে শক্ত অবস্থানে আছেন।

জানাজায় অংশ নিতে আসা সাধারণ মানুষদের কেউ কেউ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর প্রতি মানুষের ভালোবাসা কমেনি। রাজনৈতিক বিভাজনের বাইরে গিয়ে তারা একজন জাতীয় নেত্রীর জন্য দোয়ায় শরিক হতে এসেছেন।

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp
Share on email