আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ‘ডামি নির্বাচন’ উল্লেখ করে তা বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে লিফলেট বিতরণ ও জনসংযোগ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
লিফলেট বিতরণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সদস্য সচিব সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শামছুল আলম বলেন, বর্তমানে বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করার প্রচেষ্টা চলছে। অথচ বিএনপির শান্তিপূর্ণ এই কর্মসূচিতে জনগণ আরো বেশি করে সম্পৃক্ত হচ্ছে। দেশের জনগণ এবং গণতন্ত্রকামী দেশগুলো এ আন্দোলনকে সমর্থন জানাচ্ছে৷
ইউট্যাবের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. নূরুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের মতামতকে উপেক্ষা করে একটি ডামি নির্বাচনের আয়োজন করেছে যা বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল যে কার্যকর ভূমিকা পালন করছে তারই অংশ হিসেবে আজকের এই লিফলেট বিতরণ। আমরা বলতে চাই, এই নির্বাচন যদি অনুষ্ঠিত হয়ে যায় তাহলে এদেশে গণতান্ত্রিক ধারা চিরদিনের জন্য শেষ হয়ে যাবে। তাই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য, এদেশের মানুষের অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য সকলকে ভোট কেন্দ্রে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, জাতীয় সংসদের মত একটা জায়গায় বিরোধী দল না থাকা আমাদের সংবিধানের সাথে যায় না। আমরা সর্বসাধারণকে এই নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানাই। এই বর্জন সামনের দিনে দল মত নির্বিশেষে সকলকে নিয়ে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথ উন্মুক্ত করবে এবং এতে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
ফার্মেসী বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাফরুহী সাত্তার বলেন, মুক্তবুদ্ধি ও গণতন্ত্রকামী সকলেই আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে একদলীয় নির্বাচন হিসেবে প্রত্যাখ্যান করেছে। আমরা মনে করেছিলাম নির্বাচন কমিশনের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। তারা তফশিল স্থগিত রাখবে, কিন্তু তারা তা করেনি। তার প্রতিবাদস্বরূপ আমাদের এই কর্মসূচি চলমান।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. মো. সোহেল রানা, অধ্যাপক ড. মো. শাহাদাত হোসেন , অধ্যাপক ড. মো. মাসুম শাহরিয়ার, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. আমিনুর রহমান খান, অধ্যাপক ড. বোরহান উদ্দিন প্রমুখ।