বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে তিনদিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ রবিবার সকাল ১০টায় নগর বিএনপির নেতাকর্মীরা নাসিমন ভবন থেকে রওনা হয়ে রাঙ্গুনিয়ার জিয়ানগরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রথম কবরস্থানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
গত ১৭ বছরে মামলা, হামলা, গুম ও খুনের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকার শত চেষ্টা করেও শহীদ জিয়ার গড়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে দমাতে সক্ষম হয়নি। বিএনপি এ দেশের জনগণের হৃদয়ে প্রোথিত একটি আন্দোলন-সংগঠন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক জনাব এরশাদ উল্লাহ, সদস্য সচিব জনাব নাজিমুর রহমান, নগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জনাব আবুল হাশেম বক্কর, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য আলহাজ্ব শামসুল আলম, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মিয়া ভোলা, এম এ আজিজ, কাজী বেলাল উদ্দিন, হারুন জামান, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, শওকত আজম খাজা, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, আহমেদুল আলম চৌধুরী (রাসেল), শিহাব উদ্দিন মুবিনসহ মহানগর বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। এছাড়া মহানগর বিএনপির সদস্য জয়নাল আবেদীন জিয়া, ইসকান্দর মির্জা, মুজিবুল হক, সৈয়দ শিহাব উদ্দিন আলম, মোহাম্মদ জাফর আহমেদ, গাজী আইয়ুব, নুর উদ্দিন হোসেন নুরু, মোহাম্মদ আজম, আশরাফুল ইসলাম, মোহাম্মদ ইউসুফ, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক বেলায়েত হোসেন বুলু, সদস্য সচিব জমির উদ্দিন নাহিদ, নগর ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিনসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
এসময় নেতৃবৃন্দ বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠাতা। তাঁর দেখানো পথেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জনগণের ভোটাধিকার, বাকস্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার রক্ষার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। তাঁরা বলেন, “গত ৪৭ বছরে এই দলকে ধ্বংস করার জন্য অসংখ্য মামলা, হামলা, গুম ও খুন চালানো হয়েছে। অথচ কোনো ষড়যন্ত্রই বিএনপিকে দুর্বল করতে পারেনি। বরং প্রতিটি দমন-পীড়ন আমাদেরকে আরও ঐক্যবদ্ধ করেছে।”
নেতারা বলেন, স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয়েছে যে, কোনো শক্তিই জনগণের ইচ্ছাশক্তিকে দমাতে পারে না। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম ও ত্যাগের মাধ্যমে বিএনপি জনগণের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবে রূপ দিয়েছে। আজ বাংলাদেশ এক নতুন অধ্যায়ের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে, যেখানে জনগণের অধিকার নিশ্চিত হবে এবং একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ে উঠবে।
নেতারা আরও বলেন, শহীদ জিয়ার আদর্শ, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাহসী সংগ্রাম এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দূরদর্শী নেতৃত্বই আগামী দিনে গণতন্ত্রকে সুসংহত করার প্রধান হাতিয়ার হবে। তাঁরা বলেন, “আমরা শপথ নিয়েছি—যে কোনো বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে জনগণের অধিকার রক্ষা করব। এই দেশের মাটিতেই গণতন্ত্রকে স্থায়ীভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত করব। বিএনপি জনগণের দল, আর জনগণই বিএনপির শক্তি।