জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত গণতন্ত্র ঝুঁকিমুক্ত নয়-তারেক রহমান

জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত গণতন্ত্র ঝুঁকিমুক্ত নয়-তারেক রহমান

আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার, আইনের শাসন ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিএনপি কখনো পিছপা হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না।

রোববার বিকেলে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত গণতন্ত্র ঝুঁকিমুক্ত নয়। অশুভ অদৃশ্য শক্তির তৎপরতা দৃশ্যমান হচ্ছে; কোনো কোনো দল নানা শর্ত আরোপ করে পরিকল্পিতভাবে নির্বাচনের পথে বাধা সৃষ্টি করছে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান ও মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন দলের প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন।

কার্যকর রাজনৈতিক সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, “পুঁথিগত সংস্কারের চেয়ে কার্যকর গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক চর্চার মাধ্যমে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা বেশি জরুরি। সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে, তবে জনগণের অধিকার চর্চা ও প্রয়োগের পথে বাধা সৃষ্টি করে কোনো সংস্কার টেকসই করা যাবে না।”

তিনি আরও বলেন, “পরাজিত পলাতক স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের অভিপ্রায়ের সরকার। তবে এ সরকারের কাছে দক্ষ ও জবাবদিহিমূলক রাজনৈতিক সরকারের মতো পারফরম্যান্স আশা করার যৌক্তিক কারণ নেই। যতদিন এ সরকার ক্ষমতায় থাকবে, তাদের দুর্বলতা তত বেশি দৃশ্যমান হবে।”

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “বিএনপি মনে করে রাজনীতি মানে প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি নয়; বরং জনগণের জীবনমান উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তোলা। সে লক্ষ্যে বিএনপি বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে, যেগুলো কীভাবে বাস্তবায়ন হবে তা এখন পেপারওয়ার্কের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।”

Share on facebook
Share on twitter
Share on linkedin
Share on whatsapp
Share on email