লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরতে চাইলে তা সম্পূর্ণ তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
তবে, পাসপোর্ট বা ট্রাভেল ডকুমেন্ট সংক্রান্ত কোনো সমস্যায় তিনি পড়লে সরকার সহায়তা দেবে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এক সাংবাদিক জানতে চান, সরকার কি তাকে দেশে ফেরানোর কোনো উদ্যোগ নেবে? জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, “দেখুন, উনি এই দেশের নাগরিক। উনি যখন চাইবেন তখন দেশে আসতে পারেন। আসার জন্য যদি তাঁর ট্রাভেল ডকুমেন্টস নিয়ে কোনো ঝামেলা থাকে, আমরা সমাধান করব। তবে দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত তাঁকেই নিতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “সরকারের কোনো উদ্যোগ নেওয়ার প্রয়োজন নেই। সেটা নিলে মানে দাঁড়াবে আমরা তাঁকে দেশে আসতে বলছি। বিষয়টা তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। তিনি যখন আসতে চাইবেন, তখন আমরা প্রয়োজনীয় সহায়তা করব।”
তারেক রহমান কি লন্ডনের বাংলাদেশ মিশনে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছেন— জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, “আমি জানি না। যদি আবেদন করে থাকেনও, আমার অগোচরে হয়েছে। তবে তিনি দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নিলে, প্রয়োজনীয় পাসপোর্ট বা ট্রাভেল ডকুমেন্ট দেওয়া হবে।”
এদিকে, একই দিন আপিল বিভাগ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমানসহ আসামিদের খালাস দিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছে। রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল খারিজ করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের বেঞ্চ এই রায় দেন। হাইকোর্টের রায়ের কিছু অংশ সংশোধন ও প্রত্যাহার সাপেক্ষে পর্যবেক্ষণসহ এ রায় ঘোষণা করা হয়।