চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনায় হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার আটজনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুন নাহারের আদালত শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
আসামিরা হলেন— ইমরান হোসেন ওরফে এমরান (৩৫), মো. হাসান (২২), মো. রাসেল ওরফে কালা রাসেল (২৫), মো. আলমগীর (৩৫), নজরুল ইসলাম (৩০), মো. জাহেদ (৩০), মো. আরমান (২৪) ও দিদারুল আলম (৪৬)। তারা সকলেই চট্টগ্রামের হাটহাজারীর ফতেহপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দা। এদের মধ্যে ইমরান, হাসান ও রাসেল তিনজনের নাম মামলার এজাহারে রয়েছে। অপর পাঁচজন তদন্তে পাওয়া আসামি।
চট্টগ্রাম জেলা কোর্ট পরিদর্শক হাবিবুর রহমান সিভয়েস২৪’কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গ্রেপ্তার আট আসামির জামিনের আবেদন করা হলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট সংলগ্ন একটি ভবনের ভাড়াটিয়া এক ছাত্রীর সঙ্গে ভবনের নিরাপত্তারক্ষীর বিতণ্ডার জেরে শনিবার (৩০ আগস্ট) মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। রাতে শুরু হওয়া ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া আর সংঘর্ষ পরদিন রবিবারও (৩১ আগস্ট) চলে দফায় দফায়। এসময় শিক্ষার্থী, প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য, উপ-উপাচার্যসহ কয়েকশ আহত হন। সংঘাতের মধ্যে রবিবার দুপুর ২টা থেকে সোমবার রাত ১২টা পর্যন্ত ক্যাম্পাস ও আশপাশে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
ঘটনার দুদিন পর মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা দপ্তরের ডেপুটি রেজিস্ট্রার আবদুর রহিম বাদি হয়ে স্থানীয় যুবলীগ কর্মী মো. হানিফকে প্রধান আসামি করে ৯৫ জনের নামে মামলা করেন। সেখানে ৮০০ থেকে ১ হাজার জনকে নাম ছাড়া আসামি করা হয়। এক ছাত্রীকে ভাড়া বাসার দারোয়ানকর্তৃক মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয় বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করলেও মামলার এজাহারে তা উল্লেখ করা হয়নি।