শ্রমিকের গায়ের ঘাম শুকানোর আগেই তাঁর মজুরি দিয়ে দাও- বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত হযরত মুহাম্মদ (স.) এর এই নির্দেশিত উক্তির মাধ্যমে শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠার কথা ফুটে ওঠে। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন উপলক্ষে অদ্য ৮আগস্ট সোমবার, ১৪ রবিউল আউয়াল বিকাল ৪টায় বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়ন রেজি. নং- বি-২১৪৮ চট্টগ্রাম জেলা শাখার উদ্যোগে কর্ণফুলী নতুন ব্রীজ পুরাতন টোল প্লাজা চত্বরে সংগঠনের সভাপতি প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা এম. নুরুল হুদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. আলাউদ্দিন মাঝির সঞ্চালনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদরঘাট নৌ-থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, মহানবী হজরত মুহম্মদ (সা.) এর জন্মের আগে গোটা আরব অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। ওই সময় আরবের মানুষ মহান আল্লাহকে ভুলে গিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত ছিল। আরবের সর্বত্র দেখা দিয়েছিল অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা। এ যুগকে বলা হতো ‘আইয়ামে জাহেলিয়াত’র যুগ। তখন মানুষ হানাহানি ও কাটাকাটিতে লিপ্ত ছিল। এই অন্ধকার যুগ থেকে মানবকুলের মুক্তিসহ তাদের আলোর পথ দেখাতে মহান আল্লাহ তাআলা রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে দুনিয়ায় প্রেরণ করেন। তিনি আরও বলেন, নৌ-পথে কোন ধরণের কোন চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি, চাঁদাবাজি সহ্য করা হবে না। সভাপতির বক্তব্যে এম. নুরুল হুদা চৌধুরী বলেন, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে যারা রাত দিন পরিশ্রম করে সমাজ, রাষ্ট্র তথা সভ্যতাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তাদের মধ্যে অন্যতম হলো শ্রমিক সমাজ। মহানবী হজরত মুহম্মদ (সা.) এর আদর্শ অনুসরণ করে শ্রমিক সমাজ যদি ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে তাহলে কোন শক্তিই তাদেরকে রুখতে পারবে না। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো. আলিম, চট্টগ্রাম লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাহী সদস্য জিয়াউর রহমান মাষ্টার, ইঞ্জিনিয়ার মিঠু সর্দার ড্রাইভার, ইঞ্জিনিয়ার মো. হাসান। আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়ন রেজি. নং- বি-২১৪৮ চট্টগ্রাম জেলা শাখার সহ সভাপতি ইদ্রিস মোল্লা, নুরুল আলম মাষ্টার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক জাফর সুকানী, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য মো. আব্দুর সাত্তার, তৌসির আহমেদ সুকানী, রাসেল মাস্টার, মো. রিপন, সাদ্দাম হোসেন, মো. সবুজ, মো. পারভেজ মিয়া, হারুন উদ্দিন, দানু মিয়া প্রমুখ। দোয়া মাহফিল শেষে সংগঠনের সকল সদস্য, প্রয়াত সদস্য, প্রয়াত শ্রমিক নেতৃবৃন্দসহ দেশ ও জাতির কল্যাণে মুনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা মো. নুরুল ইসলাম।