বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন,ডাকসু ইলেকশন হয়েছে। ইলেকশনে বিএনপি হেরে গেছে, এটা আপনারা বলতে পারেন। আমি কিন্তু বলতে পারি না, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জামায়াতে ইসলামীর এত ভোট কোত্থেকে আসল ? আমার তো হিসেবে মিলে না ভাই। আমি বলতে চাই না যে, কারচুপি করেছে।
বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের দ্যা কিং অব চিটাগং ক্লাবে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমানের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন।
তিনি অভিযোগ করেন, এ ঘটনার পেছনে দেশের বিরুদ্ধে একটি গভীর ষড়যন্ত্র লুকিয়ে আছে। আমরা যখন বিভিন্ন দল একসঙ্গে বসি, তখন জামায়াতে ইসলামীর নেতারা বারবার আমাদের কী বলে জানেন ? বলেন- ভাই, খেয়াল রাইখেন, আওয়ামী লীগ যাতে আর ক্ষমতায় আসতে না পারে। আওয়ামী লীগ ঠেকান সবসময়, আওয়ামী লীগ আসলে সবাইকে কচুকাটা করবে। এটা তাদের (জামায়াত) ডায়লগ।
তিনি বলেন,আমরা ঠিকভাবেই চললাম। আর তলে তলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে ছাত্রলীগের সকল ভোট জামায়াত নিয়ে নিল। বুঝতে পেরেছেন এখন ? বিএনপির বিরুদ্ধে দেশে এবং দেশের বাইরে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। কারণ, বিএনপি একটিমাত্র দল বাংলাদেশে, যে দলের হাতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা নিরাপদ, সার্বভৌমত্ব নিরাপদ, মানুষের জান-মাল নিরাপদ। আপনি বলতে পারেন, হ্যাঁ, পাঁচই আগস্টের পরে তো বিএনপির লোকেরা অনেক অত্যাচার করেছে ।
স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকার। সভায় আরো বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ডা. হোসেন, মাহবুবে রহমান শামীম, বিএনপি নেতা আবু সুফিয়ান, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি, বিএনপি নেতা একরামুল করিম ও আবুল হাসেম বক্কর সহ অন্যরা।
মির্জা আব্বাস বলেন,আমাদের নেতা তারেক রহমান পরিষ্কার ভাষায় বলেছেন, বিএনপিতে কোনো সন্ত্রাসী, কোনো চাঁদাবাজ, কোনো দখলদারের জায়গা হবে না। এখনো যদি কেউ নিজেকে সামাল না দেন, এখনো যদি কেউ নিজেকে ঠিক না করেন, তাহলে যদি খবর আসে, ইনশল্লঅহ আপনাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মনে রাখতে হবে, বিএনপি স্বাধীনতার ঘোষক শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের দল। মনে রাখতে হবে, বিএনপি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দল। মনে রাখতে হবে, এদেশে এখন বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছেন আমাদের নেতা তারেক রহমান। সুতরাং এখানে চাঁদাবাজের কোনো জায়গা নেই। এখানে দখলদারের কোনো জায়গা নেই। চাঁদাবাজের জায়গা বিএনপিতে নাই এবং যারা করতেছেন তারা বিএনপির লোক না। তারা যুক্ত হয়েছে আর বিএনপির নাম দেয়।
তিনি বলেন,ডাকসুর নির্বাচন থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিৎ। ডাকসুর নির্বাচনে কিন্তু দুইটা কাজ হয়েছে, ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং ২০০৮ সালের মতো, আবার ছাত্রলীগের ভোট। দেখেন, এরা কত বড় মোনাফেকের দল একটু দেখেন, এদের কারণে ২০০৮ সালের নির্বাচনে যেতে হয়েছিল, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচনে যেতে চাননি, জোর করে মুজাহিদ সাহেব, আল্লাহ তাকে বেহেশতে নসিব করুন, নির্বাচনে নিয়ে গেলেন। তার ফল কী হল ?
শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাধীন করেছিলেন। এদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে নিয়ে দেশটাকে স্বাধীন করেছিলেন। আমি মনে করি, বিশ্বাস করি, আমি নিজেও একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলাম, একমাত্র বিএনপির হাতেই দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিরাপদ, আর কেউ স্বাধীন রাখতে পারবে না।