রাজধানীর সহ সারাদেশে বাজারগুলোতে সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। মাছের দাম নাগালের বাইরে চলে গেছে।
অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির কারণে নিম্ন আয়ের মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন। ব্যবসায়ীরা সরবরাহ কমের অজুহাত দেখালেও ক্রেতারা সিন্ডিকেটের কথা উল্লেখ করছেন।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর নিউমার্কেট কাঁচাবাজার ও পলাশী বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শুধু সবজিই নয়, নিত্যপণ্যের বাজারেও আলু ছাড়া অন্যান্য পণ্যের দাম চড়া। বিশেষত মাছ, শাক, ডাল, আটা, ময়দা ও চা পাতার দাম শেষ দুই সপ্তাহে বেড়েছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিপ্রতি ১০-২০ টাকা বেড়ে ১৮০-২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ১৭০-১৮০ টাকা। কক মুরগি ৩১০ টাকা, মোরগ ৩৩০ টাকা, লেয়ার ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সোনালি মুরগি কিনতে কেজিপ্রতি খরচ করতে হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকা। ডিম বিক্রি হচ্ছে ডজনপ্রতি ১৪০-১৫০ টাকা।
পলাশী বাজারের মুরগি বিক্রেতা জুলহাস বলেন, “সবজি-মাছসহ অন্যান্য পণ্যের চাহিদা বেশি। তার প্রভাবেই দাম সামান্য বেড়েছে। তবে ২০০ টাকা পর্যন্ত মুরগির দাম স্বাভাবিক।”
এদিকে, বাজারে প্রতি ডজন ডিমের দাম এলাকাভেদে ৫-১০ টাকা কমেছে। এক সপ্তাহ আগে ব্রয়লার মুরগির লাল ডিম ১৫০ টাকায় বিক্রি হতো, বর্তমানে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিছু খুচরা দোকানে এখনও এক হালি ডিম ৫০ টাকায় রাখা হয়েছে। অধিকাংশ বিক্রেতা বলছেন, সরবরাহ বাড়ায় ডিমের দাম কমেছে।
সবজির দামের অস্থিরতা আরও বেড়েছে। আলু, পেঁপে ছাড়া অন্যান্য সবজি এখন ৮০ টাকার নিচে পাওয়া কষ্টকর। নতুন গোলাকৃতির বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১০০-১৪০ টাকায়। বরবটি, করলা, চিচিঙ্গা, কচুর লতি ১০০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি ধুন্দল কিনতে হচ্ছে ৮০-১০০ টাকায়। ঝিঙ্গা, পটল, ঢ্যাঁড়সও ৮০ টাকার আশেপাশে বিক্রি হচ্ছে।
সহনীয় দামে বর্তমানে শুধু আলু (২৫-৩০ টাকা কেজি) ও পেঁপে (৩৫-৪০ টাকা কেজি) পাওয়া যাচ্ছে।
শাকের দামও বেশি। লাল শাক, কলমি বা হেলেঞ্চা শাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়, পুইশাক কিনতে প্রতি আঁটিতে খরচ পড়ছে ৪০-৫০ টাকা।
চালের বাজারে এখনও দাম বেশি। তবে গত দুই সপ্তাহে মিনিকেট চালের দাম কেজিতে ১-২ টাকা কমেছে। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৭২-৮৫ টাকায়। নাজিরশাইল চালের দাম ৭৫-৯৫ টাকা, ব্রি-২৮ চাল ৬২ টাকা, মোটা স্বর্ণা চাল ৫৮-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।