সংশোধনাগারে থাকার পরে জীবনদর্শন বদলে গেছে রিয়া চক্রবর্তীর। সম্প্রতি এক আলোচনা সভায় তাকে জিজ্ঞেস করা হয়- কারাগারের জীবনযাপন নিয়ে যদি কোনো ছবি তৈরি করেন, তাহলে অভিনয় করবেন কী? উত্তরে তিনি বলেন, কারাগারে অনেক কিছুই থাকে না। আমরা আফসোস করি আমাদের কিছু নেই ভেবে। সংশোধনাগারে থেকে উপলব্ধি করেছিলাম, কিছু না থাকার আসল অর্থ কী! যখন যা খুশি ইচ্ছামতো খাওয়ার উপায় নেই। অভিনেত্রীর কথায়, বাবা-মাকে আমরা গুরুত্ব দিই না। কিন্তু সংশোধনাগারে ওদের কথাই মনে পড়তো। জীবনদর্শন পুরো বদলে গিয়েছিল। লোকে কী বলছে- তা নিয়ে আর গায়ে মাখতাম না। সেই সময়ে আমার বয়স মাত্র ২৭। ওখানে থেকে খাবারের মূল্য বুঝেছি। দোকানের পিৎজার চেয়ে ডাল-ভাতকে মূল্য দিতে শিখেছি। সংশোধনাগারে সুশান্তের কথা মনে পড়তো? এ প্রশ্নের জবাবে রিয়া জানান, এমনই কঠিন পরিস্থিতি ছিল যে, শোক প্রকাশ পর্যন্ত করার অনুমতি ছিল না।
তাই আজও মনে হয়, শোকপর্ব শেষ হয়নি। বাকি থেকে গেছে অনেক কিছু। অভিনেত্রী বলেন, শোক রয়ে গেছে। বিষয়টা ব্যক্তিগত রাখতে চাই। তবে, আমি খুশিও আছি। আর এই ধরনের খুশির উৎপত্তি হয় গভীর মানসিক আঘাত থেকে।