চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় আবারও বন্যহাতির দেখা মিলেছে। হঠাৎ লোকালয়ে প্রবেশ করায় সাধারণ মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে তীব্র আতঙ্ক।
গত এক দশকে আনোয়ারা ও কর্ণফুলী উপজেলায় বন্যহাতির আক্রমণে অন্তত ২৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। চলতি বছরের মার্চে কর্ণফুলীর শাহমীরপুর এলাকায় এক শিশুর মৃত্যুর পর ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ করলে নড়েচড়ে বসে বন বিভাগ ও কেপিজেড কর্তৃপক্ষ। পরে ১৩ এপ্রিল ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিমের (ইআরটি) সহায়তায় হাতিগুলোকে বাঁশখালী অভয়ারণ্যে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। এতে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এলেও কয়েক মাসের ব্যবধানেই আবারও লোকালয়ে প্রবেশ করেছে বন্যহাতি।
গত ২০ জুলাই কেপিজেড সংলগ্ন দেয়াঙ পাহাড়ে একটি হাতি দেখা যায়। এরপর ২২ সেপ্টেম্বর টানেল সড়ক, কান্তিরহাট, মহাদেবপুর ও কেপিজেড এলাকায় দুটি হাতি তাণ্ডব চালায়। সর্বশেষ ২৪ সেপ্টেম্বর সকালে হাজিগাঁও এলাকার এক বিলে দেখা মেলে আরও দুই হাতির। তৈলেরদ্বীপ হয়ে মুহাম্মদপুর ঘুরে তারা বৈরাগ গ্রামে প্রবেশ করে এবং পরে কেপিজেড পাহাড়ের দিকে চলে যায়। হঠাৎ হাতির আগমনে পথচারী ও স্থানীয়রা আতঙ্কে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যান। যদিও এ ঘটনায় প্রাণহানি ঘটেনি, তবে জনজীবনে অস্থিরতা নেমে আসে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বনভূমির সীমানা সংকুচিত হয়ে আসায় হাতির দল প্রায়ই লোকালয়ে প্রবেশ করছে। এতে ফসল ও জানমালের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
হাজিগাঁও এলাকার বাসিন্দা দিদারুল ইসলাম বলেন, কয়েক মাস শান্তিতে ছিলাম। গত রাত আবার পাহাড়ে হাতি দেখা গেছে। বন্যহাতি আমাদের শান্তি ও ঘুম কেড়ে নিচ্ছে।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বাঁশখালী (জলদী) রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আনিসুজ্জামান শেখ বলেন,হাতির গতিবিধি আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। এখন পর্যন্ত একটি হাতির অবস্থান নিশ্চিত হওয়া গেছে। মানুষের জানমালের ক্ষতি যাতে না হয়, সে ব্যাপারে আমরা সতর্ক আছি।
তিনি আরও বলেন,বেশিরভাগ দুর্ঘটনা ঘটে মানুষের অসতর্কতা বা অতিরিক্ত কৌতূহলের কারণে। তাই সবাইকে সাবধান থাকতে হবে।