অভিনয় দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করলেও এবার নতুনভাবে চলচ্চিত্রে ফিরতে যাচ্ছেন সাদিকা পারভীন পপি। নব্বই দশকের শেষ দিকে সিনেমায় অভিষেক হয় তার। দুই দশকেরও বেশি সময় টানা কাজ করেছেন তিনি। সর্বশেষ ২০২০ সালে ‘ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ ছবির শুটিং করেন পপি। এরপর দীর্ঘ পাঁচ বছর আড়ালে থাকেন। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে আবার প্রকাশ্যে এলেও পারিবারিক বিরোধের কারণে পুনরায় আড়ালে চলে যান।
তবে শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে তিনি জানালেন, চলচ্চিত্রে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কবে ফিরবেন, তা শিগগিরই জানাবেন বলে জানান তিনি।
চলচ্চিত্রে ফেরার পরিকল্পনা প্রসঙ্গে পপি বলেন, ‘অভিনয়ে ফিরব না, এটা পুরোপুরি নিশ্চিত। তবে পুরোনো কয়েকটি কাজ আছে, সেগুলো শেষ করব। এরপর আমি নিজের মতো করে ফিরব।’ তার ভাষায়, ‘আমি সিনেমা প্রযোজনা করব। এমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সিনেমা প্রযোজনা অবশ্য আমি আগেও করেছিলাম, এটা আর নতুন না। আমার কাছে মনে হয়, ভালো গল্পের ছবির সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারলে বেশি ভালো লাগবে।’
অভিনয়ের পাশাপাশি একসময় তিনি প্রযোজনার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। মনোয়ার খোকন পরিচালিত একটি ছবি প্রযোজনা করতে গিয়ে প্রায় ২০ লাখ টাকা লোকসানের মুখে পড়তে হয় তাকে। পপির মতে, টিমের অসহযোগিতার কারণে সেই ক্ষতির শিকার হন। তবে এবার প্রযোজনায় ফেরার বিষয়ে আশাবাদী তিনি। তার ভাষায়, দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থেকে এখন অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী। এর আগেও তিনি ‘কিডন্যাপ’ ও ‘জীবন মানেই যুদ্ধ’সহ কয়েকটি ছবি প্রযোজনা করেছেন। তাই নতুন করে প্রযোজক হিসেবেই চলচ্চিত্রে ফিরতে চান।
খুলনার সোনাডাঙ্গায় জন্ম পপির। বাবা আমির হোসেন ছিলেন ঠিকাদার, মা মরিয়ম বেগম গৃহিণী। ছয় ভাইবোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। স্কুলজীবনেই লাক্স–আনন্দ বিচিত্রা ফটোসুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হন পপি। এরপর শুরু হয় তার ঢাকায় চলচ্চিত্র জীবন। পড়াশোনার পাশাপাশি মায়ের উৎসাহেই সিনেমায় আসেন তিনি। পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের হাত ধরে ‘আমার ঘর আমার বেহেশত’ সিনেমায় অভিনয় শুরু করেন। তবে দর্শকের কাছে পরিচিতি পান মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত ‘কুলি’ ছবির মাধ্যমে।
‘কুলি’ ছবির ব্যবসাসফলতা তাকে রাতারাতি জনপ্রিয় করে তোলে। হাতে আসে একের পর এক সিনেমার প্রস্তাব। শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে উচ্চশিক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি তার। তাই আজও আফসোস থেকে গেছে—পড়াশোনাটা শেষ করতে না পারার জন্য।