সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক মাধ্যমে প্রাণী ও পরিবেশ রক্ষা নিয়ে সরব অবস্থান নিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তারেক রহমান জানান, তার ছোটবেলা থেকেই পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল পশুপাখির সঙ্গে।
“আমাদের বাসায় ছোটবেলায় কুকুর, বিড়াল, হাঁস-মুরগি, ছাগল, পাখি এবং ময়না ও কবুতর ছিল। এমনকি আমাদের একটি খাঁচার মধ্যে ময়নাও ছিল, যেটি বরিশাল থেকে এনেছিলাম এবং বরিশালি ভাষায় কথাও বলতো,”।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি হচ্ছে, ‘এরকম শুধু বিড়াল নয়, আমি এবং আমার ভাই যখন ছোট ছিলাম আমাদের একটি ছোট কুকুরও ছিল। ইভেন, তখন আমাদের বাসায় আম্মা হাঁস মুরগি পালতেন, ছাগলও ছিল আমাদের বাসায়।
উনি ছাগলও কয়েকটি পালতেন। তো স্বাভাবিকভাবেই আপনি যেই দৃষ্টিকোণ থেকেই বলেন, পোষা কুকুর বিড়ালই বলেন, বাই দাদা ওয়ে কবুতরও ছিল আমাদের বাসায়। শুধু কবুতর না আমাদের বাসায় একটি বিরাট বড় একটি খাঁচা ছিল। সেই খাঁচার মধ্যে কিন্তু পাখি ছিল, বিভিন্ন রকমের এবং আবার আরেকটি খাঁচা ছিল যেটার মধ্যে একটা ময়না ছিল।’
আজ মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) বিবিসি বাংলায় প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় পর্বে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “এই অভিজ্ঞতা থেকে প্রাণী ও প্রকৃতির প্রতি আমার মমতা ও দায়িত্ববোধ জন্ম নিয়েছে। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও আল্লাহর সৃষ্ট জীব ও প্রকৃতির যত্ন নেওয়া আমাদের দায়িত্ব।”
পরিবেশ সচেতনতার প্রসঙ্গেও তিনি বলেন, “প্রকৃতির ভারসাম্য না থাকলে মানুষের বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে যাবে। উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশের শহরগুলোর গ্রীন এলাকা বর্তমানে প্রয়োজনীয় পরিমাণের চেয়ে কম, যা বিপজ্জনক।”
তারেক রহমান বলেন, “আমরা আমাদের কর্মসূচির মাধ্যমে কিভাবে বনায়ন এবং পরিবেশ রক্ষা বাড়ানো যায়, তা নিয়ে কাজ করছি। প্রাণী ও প্রকৃতির প্রতি সচেতন থাকা আমাদের জন্য অপরিহার্য।”
আপনাকে সম্প্রতি প্রাণী অধিকার রক্ষা নিয়ে বেশ সোচ্চার দেখা গেছে। এ সংক্রান্ত অনুষ্ঠানে আপনি যোগ দিয়েছেন। রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের বাইরে আপনার পোষা বিড়ালের সাথে আপনার নিয়মিত ছবি দেখা যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তো এটা আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠলো কিভাবে?
তারেক রহমান বলেন, প্রথমত এখানে একটু ক্লিয়ার করে নেই, বিড়ালটি আমার মেয়ের বিড়াল। ও এখন অবশ্য সবারই হয়ে গিয়েছে। আমরা সবাই ওকে আদর করি।