চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কোরিয়ান রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল (কেইপিজেড)-এ নির্মিত হচ্ছে অত্যাধুনিক টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়। আধুনিক অবকাঠামো ও শিল্প-সংযুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে এটি হবে দেশের অন্যতম প্রথম শিল্পভিত্তিক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
প্রায় ২৫ একর জায়গাজুড়ে গড়ে তোলা সাতটি ক্যাম্পাসে একসঙ্গে ৮০০ শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে পারবেন। একই সঙ্গে কেইপিজেডের অধীনে থাকা ৪৮টি কারখানার প্রায় ৩৫ হাজার শ্রমিকও বিভিন্ন মেয়াদে প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগ পাবেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
কেইপিজেড কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, ২০২৪ সালে নিজস্ব অর্থায়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণকাজ শুরু হয়। সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোলে ২০২৬ সালের শুরুতেই পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা কার্যক্রম চালু হবে। শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসন, ক্যান্টিন, আধুনিক ল্যাবরেটরি ও শিল্প খাতভিত্তিক প্রশিক্ষণের পূর্ণ সুবিধা রাখা হচ্ছে।
কর্তৃপক্ষের মতে, বাংলাদেশের পোশাকশিল্পে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে এই বিশ্ববিদ্যালয় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। চার বছর মেয়াদি টেক্সটাইল শিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শিল্পক্ষেত্রে সরাসরি দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগও পাবে।
কেইপিজেডে কর্মরত শ্রমিক মোহাম্মদ ইকবাল বলেন,আমরা প্রতিদিন কাজের মধ্যে নতুন কিছু শিখি, কিন্তু এই প্রশিক্ষণ পেলে সেই অভিজ্ঞতাকে আরও ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারব। এতে ভালো পদের সুযোগ বাড়বে, আর নিজের ভবিষ্যৎও উজ্জ্বল হবে।
কেপিজেডে কর্ণফুলী পলিয়েস্টার প্রোঃ কোম্পানি লিমিটেড (ওয়ার্পনিট সেকশন) এর অফিসার সাজু মিয়া বলেন,টেক্সটাইল নিয়ে আমরা প্রতিদিন কাজ করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে যদি আরও প্রশিক্ষণ ও আধুনিক জ্ঞান অর্জনের সুযোগ পাই, তাহলে দক্ষতা আরও বাড়বে। এতে আমাদের কর্মজীবনেও উন্নতির সুযোগ তৈরি হবে।
এ বিষয়ে কেইপিজেডের উপ-মহাব্যবস্থাপক মুশফিকুর রহমান জানান,বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণকাজ প্রায় শেষ। সাতটি ক্যাম্পাস প্রস্তুত হয়েছে। কেইপিজেড ও ইয়ংওয়ান গ্রুপের যৌথ উদ্যোগে প্রায় ৮০ হাজার শ্রমিক ও কর্মচারী প্রশিক্ষণ নেওয়ার পাশাপাশি সারাদেশের শিক্ষার্থীরাও এখানে পড়াশোনার সুযোগ পাবেন। আমাদের লক্ষ্য পোশাকশিল্পে দক্ষ ও পেশাদার মানবসম্পদ তৈরি করা।