
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, পার্বত্য অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি, উন্নয়ন ও পারস্পরিক সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, উপজাতীয় নেতা, ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব ও সাধারণ নাগরিকদের সমন্বয়ে এক সাথে কাজ করতে হবে।
উপদেষ্টা আজ রাংঙামাটির রাঙ্গাপানি মিলন বিহার প্রাঙ্গণে ১ম সম্মিলিত জাতীয় কঠিন চীবর দান ২০২৫ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্য এই সব কথা বলেন। এই সময় ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন উদ্বোধক অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
পার্বত্য উপদেষ্টা বলেন,সরকার সব ধর্ম ও সম্প্রদায়ের প্রতি সমান শ্রদ্ধাশীল এবং ধর্মীয় উৎসবগুলো নির্বিঘ্নে পালনের জন্য সব সময় সহযোগিতা করছে।
পার্বত্য উপদেষ্টা আরো বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ ও সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করতে আপনারা সহযোগিতা করবেন। সুষ্ঠু নির্বাচন গণতন্ত্রের অন্যতম ভিত্তি, আর এই নির্বাচনকে সফল করতে আপনাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
পার্বত্য উপদেষ্টা আরো বলেন, নির্বাচনের সময় কেউ যেন ভ্রান্ত তথ্য, বিভ্রান্তি বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করে সে বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। সরকারের উদ্দেশ্য হলো—একটি অংশগ্রহণমূলক, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করা, যাতে জনগণ নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন।
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন,বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে সরকার বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের কল্যাণ ও ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে সহায়তার অংশ হিসেবে ২ কোটি টাকা অনুদান প্রদান করেছে। তিনি বলেন, প্রবারণা পূর্ণিমা শান্তি ও সহমর্মিতার প্রতীক। এই উৎসবের মাধ্যমে সমাজে মানবতা ও সৌহার্দ্যের বার্তা আরও বিস্তৃত হবে।
সি এইচ টি, সুপ্রিম সংঘ কাউন্সিলর ও সংঘ প্রধান ভদন্ত শ্রদ্ধালঙ্কার মহাথেরোর সভাপতিত্বে বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি মংহ্লা চিং রাখাইন, গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ এবং বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সাংগঠনিক সচিব প্রফেসর ড. সুব্রত বরণ বড়ুয়া প্রমুখ বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, বৌদ্ধ ভিক্ষু, সাধারণ জনগণ, এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।