চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, জনগণের সেবা শতভাগ নিশ্চিত করতে ডোর টু ডোর বর্জ্য সংগ্রহ প্রকল্পের বিকল্প নেই। ডোর টু ডোর কার্যক্রমের মাধ্যমে জনগণ ঘরে বসেই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন সেবা পাবে এবং এটি পুরো নগরকে পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
সোমবার টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত “ডোর টু ডোর” কার্যক্রম বিষয়ক অনুষ্ঠানে মেয়র এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে তিনি ডোর টু ডোর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার নতুন নিয়মাবলি ও তার কার্যকর প্রয়োগ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আগে বাসা বাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নীতিমালা ছিল না। অনেকেই ইচ্ছামতো টাকা নিত। এখন বাসা প্রতি সর্বোচ্চ ৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কেউ অতিরিক্ত টাকা নিলে সেই প্রতিষ্ঠানের কার্যাদেশ বাতিল করা হবে। দোকান, শিল্প-কারখানা এবং ভাসমান দোকানের জন্য আলাদা রেট নির্ধারণ করা হয়েছে। ভাসমান দোকান থেকে টাকা আদায় করা যাবে না, কারণ এগুলো অবৈধ।
মেয়র আরও বলেন, আমরা চেষ্টা করছি যাতে জনগণকে সম্পূর্ণ ফ্রি বা আংশিক ভর্তুকিতে সেবা দেওয়া যায়। সঠিকভাবে ময়লা সংগ্রহ ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করাই কর্মীদের মূল দায়িত্ব। কেউ যদি অসহযোগিতা করে, তা আমাকে জানাতে হবে।
তিনি উল্লেখ করেন, প্রাথমিক কয়েক মাস কর্মীরা ক্ষতি (লস) ভোগ করবেন, তবে ধীরে ধীরে জনগণের আস্থা অর্জন করা যাবে। সঠিকভাবে পরিষেবা প্রদানের মাধ্যমে জনগণ বুঝবে যে তাদের ময়লা নিয়মিত অপসারিত হচ্ছে।
মেয়র সার্বিকভাবে শহরের বাসিন্দাদের সুবিধা তুলে ধরে বলেন, আগের হোল্ডিং ট্যাক্সের তুলনায় আমাদের উদ্যোগে ট্যাক্স কমানো হয়েছে। জনগণ আজ ঘরে বসে সেবা পাচ্ছে, স্বাস্থ্যঝুঁকি কমছে এবং দোকানপাট বন্ধ রাখতে হচ্ছে না। এটি শহরের জন্য একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ।
তিনি জানান, আগামী ২১ অক্টোবর সকাল ১১টা থেকে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিয়ে ডোর টু ডোর প্রকল্প বিষয়ে মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত হবে। এই সময় নগরবাসীর অভিযোগ ও পরামর্শ সহজেই গ্রহণের জন্য অনুষ্ঠানে “আমাদের চট্টগ্রাম” নামে নতুন একটি অ্যাপস-এর উদ্ধোধন করা হবে। এ অ্যাপে যে কেউ নালা-নর্দমা, ম্যানহোল ঢাকনা, ডাস্টবিন বা খালের সমস্যাসংক্রান্ত ছবি আপলোড করে সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন। এই অ্যাপের মাধ্যমে আমরা নাগরিক সেবাকে আরও কার্যকর ও জনবান্ধব করে তুলতে চাই।
এসময় চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মা, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মোঃ শরফুল ইসলাম মাহিসহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।