ছাত্রদল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে কারচুপির নাানা স্লোগানে তার উত্তপ্ত করে তুলেছে ক্যাম্পাস। যদিও কেন্দ্রীয়ভাবে বা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত চাকসু নিয়ে কোনো অনিয়ম, কারচুপি বা জালিয়াতি অভিযোগ ওঠেনি। তবে ছাত্রদল সমর্থিত ভিপি প্রার্থী সাজ্জাদ হোসে সাংবাদিকদের কাছে নির্বাচন কমিশনকে ‘অথর্ব’ আখ্যায়িত করে বলেছেন, কিছু নির্দিষ্ট অনিয়ম তাদের সামনে বার বার তুলে ধরে আমরা সেগুলো বন্ধে ব্যবস্থা নিতে বার বার অনুরোধ জানিয়েছি। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি। বরং নিজেদের অসহায়ত্বের কথা বলো দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন।নির্বাচন কমিশনার এই নির্বাচনে কলঙ্কিত অধ্যায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি গোপনে আমাদের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আমি বিষয়টি তদন্তের দাবি জানাই।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সোহরাওয়ার্দী হল সংসদে ভোট কারচুপির অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) মো. কামাল উদ্দিনকে অবরুদ্ধ করে রাখেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। পরে রাত সোয়া ৩টার দিকে তাকে বাসায় যেতে দেওয়া হয়।এই উপ-উপাচার্যের বিরুদ্ধে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের অভিয়োগ তিনি সোহরাওয়ার্দী হল সংসদে ছাত্রদল সমর্থিত সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থীকে কারচুপির মাধ্যমে পরাজিহ করেছেন। ভোট গণনার পুনরায় দাবি তুলে তারা তাকে প্রকৌশল অনুষদের (আইটি বিল্ডিং) ৩১২ নম্বর কক্ষে আটকে রাথেস। রাত আড়াইটার দিকে পুলিশ এসে উপ-উপাচার্যকে প্রকৌশল অনুষদ থেকে বের করে নিয়ে যায়।
সবমিলিয়ে নির্বাচনী আমাজে উৎসবে জমজমাট ক্যাম্পাসে এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যদিও এখন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন পুর্ণাঙ্গ ফলাফল ঘোষণা করেনি। এখন পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪টি হল ও ১টি হোস্টেল মধ্যে ৯টি হল ও ১টি হলের ফলাফল পাওয়া গেছে। বাকি হলগুলোর ভোটের ফলাফল কি হবে, সেই আভাস এরই মধ্যে সাধারণ শিক্ষার্থী পেয়ে গেছে।