সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলোর মধ্যে এবার পাসের হারে শীর্ষ রয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। এই বোর্ডে পাসের হার ৬৪.৬২ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বরিশাল শিক্ষা বোর্ড। পাসের হার ৬২.৫৭ শতাংশ। সর্বনিম্ন কুমিল্লা বোর্ড। পাসের হার ৪৮.৮৬ শতাংশ। চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে ৫২.৫৭, সিলেটে ৫১.৮৬, যশোরে ৫০.২০, ময়মনসিংহে ৫১.৫৪, রাজশাহীতে ৫৯.৪০, দিনাজপুরে ৫৭.৪৯ ও কুমিল্লায় ৪৮.৮৬ শতাংশ।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৬২.৬৭ শতাংশ, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড পাসের হার ৭৫.৬১ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় দেশের শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট, সংশ্লিষ্ট সব পরীক্ষাকেন্দ্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল প্রকাশ করা হয়।ফল প্রকাশ করেন বাংলাদেশ আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রমতে, এবার দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মোট ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করেন। এর মধ্যে ৬ লাখ ১৮ হাজার ১৫ জন ছাত্র এবং ৬ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬ জন ছাত্রী। প্রায় ২৭ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেননি।
ফল জানা যাবে যেভাবে : শিক্ষার্থীরা প্রতিটি শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটের ‘Result’ কর্নারে গিয়ে বোর্ড, রোল নম্বর ও প্রতিষ্ঠানের ইআইআইএন নম্বর দিয়ে ফল ডাউনলোড করতে পারবেন। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট কলেজ থেকেও ফল জানা যাবে। অন্যদিকে, এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানা যাবে—এর জন্য মোবাইলে লিখতে হবে: HSC বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর রোল 2025 এবং পাঠাতে হবে 16222 নম্বরে। ফিরতি এসএমএসে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।
এ বছর ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণের জন্য www.educationboardresults.gov.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হবে।
এইচএসসি ও সমমানের লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়েছিল গত ২৬ জুনে। দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ শিক্ষার্থী চলতি বছর এ পরীক্ষায় অংশ নিতে ফরম পূরণ করেছিলেন।
গত ১৯ অগাস্ট এইচএসসি ও সমমানের লিখিত পরীক্ষা শেষ হয়। ২১ থেকে ৩১ অগাস্টের মধ্যে ব্যবহারিক পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।