
২০০৭ সালের পর এবারই প্রথম অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবল বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেছিল ছয়বারের শিরোপাজয়ী আর্জেন্টিনা। লাতিন দেশ কলম্বিয়াকে হারিয়ে এবার শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালেও উঠে গেল দেশটি। আলবিলেস্তে যুবাদের পক্ষে ম্যাচের ফল নির্ধারণী একমাত্র গোলটি করেছেন মাতেও সিলভেট্টি। এ ছাড়া এক মিডফিল্ডার লাল কার্ড দেখায় কলম্বিয়া শেষ ২০ মিনিট ১০ জনের দল নিয়ে খেলেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) জুলিও মার্টিনেজ প্রাদানোস স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনা-কলম্বিয়ার সেমিফাইনালের লড়াইটা হাড্ডাহাড্ডি হয়েছে। আক্রমণ, বল দখল ও শট নেওয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে প্রায় সমান পাল্লায়। কলম্বিয়া ৫৪ শতাংশ পজেশনের পাশাপাশি ১৩ শটের মধ্যে ৪টি লক্ষ্যে রাখতে পারে। অন্যদিকে, বিজয়ী আর্জেন্টাইনদের ১৪ শটের মধ্যে লক্ষ্যে ছিল ৫টি।
ম্যাচের শুরুতেই আক্রমণে যায় কলম্বিয়া। বা দিক থেকে পেরেয়া দারুণ একটি মুভে আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগ ভেদ করে ফেলেন। কানচিম্বো হেডে সুযোগ পেলেও গোলরক্ষক বার্বি চমৎকারভাবে তা প্রতিহত করেন। আর্জেন্টিনার প্রেস্টিয়ান্নি দারুণ সুযোগ তৈরি করলেও তার শটটি পোস্টের বা পাশ ঘেষে বাইরে চলে যায়। এরপর আর্জেন্টিনার সারকো চমৎকার এক দলীয় মুভের পর ডান দিক থেকে এক দুর্দান্ত ক্রসে গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলেন, কিন্তু কলম্বিয়ান গোলরক্ষক দারুণভাবে তা সেভ করেন।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোলের সুযোগ পায় আলবিসেলেস্তেরা। সদ্য বদলি হয়ে নামা সিলভেত্তি বক্সের ভেতর বল পেলেও তার ক্রস শট লক্ষ্যে রাখতে ব্যর্থ হন। কলম্বিয়া দ্রুত পাল্টা আক্রমণ করে। রেন্তেরিয়ার একটি ক্রসে দুর্দান্ত সেভ করেন গোলরক্ষক বার্বি। তবে ফিরতি বল থেকে তোবিয়াস রামিরেস নিখুঁত ফিনিশে গোলের সম্ভাবনা তৈরি করেছিলেন, যদিও তাতেও ফল আসেনি।
ম্যাচের ৭২তম মিনিটে আসে কাক্সিক্ষত মুহূর্ত। বক্সের কাছে বল পেয়ে পাস দেন প্রেস্টিয়ান্নি। বল পান সিলভেত্তি, নিখুঁত এক টাচে বল পাঠান ডানপোস্ট ঘেঁষে জালে। আর তাতেই ম্যাচের একমাত্র গোলটি পেয়ে যায় আর্জেন্টিনার যুবারা। খেলার ৮০তম মিনিটে বড় ধাক্কা খায় কলম্বিয়া। মাঝমাঠে ফাউলের কারণে রেন্তেরিয়া দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন, তাতে ১০ জনের দলে পরিণত হয় তারা। ম্যাচের বাকি সময় আর কোনো গোল না হলে ১৮ বছর পর অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে জায়গা করে নেয় আলবিসেলেস্তেরা।