চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম এর ম্যানেজিং ট্রাস্টি অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেনের আত্মজীবনী ‘প্লেজার অ্যান্ড পেইন' গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব অদ্য ২০ অক্টোবর সোমবার বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমি, চট্টগ্রাম এর গ্যালারী হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, জাতীয় অধ্যাপক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজুদ্দীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, প্রফেসরিয়াল ফেলো ও ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন উপাচার্য প্রফেসর মু. সিকান্দার খান, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. ওমর ফারুক ইউসুফ, একুশে পদকপ্রাপ্ত, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও শিক্ষাবিদ আবুল মোমেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মেডিকেল ডিরেক্টর সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. রাজীব হোসেন। বক্তব্য রাখেন, বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজের অফথালমোলজি বিভাগের হেড অব দা ডিপার্টমেন্ট অধ্যাপক ডা. সাইফুদ্দীন মোহাম্মদ তারেক, ডা. গোলাম মোস্তফা চৌধুরী, প্রফেসর ডা. নুরুল গনি, মিরসরাই এসোসিয়েশন-চট্টগ্রাম এর সভাপতি এডভোকেট মাহফুজুল হক মনি, গ্রন্থটির লেখক উত্তম কুমার আশ্চার্য, প্রকাশক আবির প্রকাশনের মোহাম্মদ নুরুল আবছার, গ্রন্থটির প্রচ্ছদ ও আলোকচিত্রী শহীদ ফারুকী প্রমূখ।অনুষ্ঠানে ওএসবি চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম সাংস্কৃতিক পরিষদ, ডা. আহমেদুর রহমান রিসার্স সেন্টার, ওহাদুর নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মিরসরাই এসোসিয়েশন-চট্টগ্রাম, মিরসরাই এডুকেশন সোসাইটি, ইকো ফ্রেন্ডস, অ্যারিস্টোফার্মা লিমিটেড, কাঠাছড়া গ্রাম উনানয়ন সমিতির পক্ষ থেকে মনোগ্রাম খচিক ক্রেষ্ট আন্তর্জাতিক চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. রবিউল হোসেনের হাতে তুলে দেয়া হয়।
প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. আলমগীর মোহাম্মদ সিরাজুদ্দীন বলেন, অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিকিৎসক, সমাজসেবক, সংগঠক ও বিশ্বমানের চিকিৎসা উদ্যোক্তা। তাঁর সৃষ্টিশীল যাবতীয় কর্মযজ্ঞ ‘প্লেজার অ্যান্ড পেইন’ গ্রন্থটিতে স্থান পেয়েছে। যা আগামী প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয়। তিনি বলেন, মানুষের জীবনকে বয়সের সীমারেখা দিয়ে পরিমাপ করা যায় না। মহৎ কর্মই মানুষকে অমরত্ব দান করে। ভাল কাজই মানুষকে এক যুগ থেকে অন্য যুগে পৌঁছে দেয়। মানুষকে শ্রদ্ধা, ভক্তি ভালোবাসায় সিক্ত করে। অসংখ্য মানুষ এসেছে, অনেকে চলে গেছে, কিন্তু মহাকালের যাত্রায় স্থান করে নিয়েছে খুব অল্প সংখ্যক মানুষ। তাঁদেরকে বাঁচিয়ে রেখেছে তাঁদের মহৎকর্ম। তেমনি অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেনও যুগ যুগ ধরে তাঁর কর্মে সবার হৃদয়ে থাকবেন।