সাম্প্রতিক গণমাধ্যমকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
হান্নান মাসউদ উল্লেখ করেন, নির্বাচন স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আমরা তাদের উপর ভরসা রাখিনি। তাদের দাবির সঙ্গে আমাদের দাবির কোনো মিল ছিল না। একমাত্র মিল ছিল আইনি ভিত্তি সংক্রান্ত বিষয়। তারা জানিয়েছে, আমরা তিন-চারটি দাবি দিয়েছি। আমরা স্পষ্টভাবে বলছি, আমরা চুপক্কভাবে আদেশ চাই না, আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে চাই।
তিনি বলেন, “১০৬ ধারা অনুযায়ী তারা জনগণের অভিপ্রায়ে রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারের কাছ থেকে নির্দেশ চাইছে। আমরা চুপ্পুদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি; জুলাই আন্দোলনও চুপ্পুদের বিরুদ্ধে হয়েছিল। সেই আদেশের মাধ্যমে গণভোটে যাওয়া সম্ভব নয় এবং তা আমরা মেনে নিতে পারি না।”
এনসিপির এ নেতা বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে আগের দিন সরকারের ক্ষমতায় থাকার বিষয়ে কিছু নোট বা নির্দেশনা এসেছিল, যা বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে এই কার্যক্রমের ওপর ভিত্তি করে যে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাবে না। জামায়াতের পদক্ষেপের স্বচ্ছতা এবং রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক হান্নান মাসউদ জানিয়েছেন, জুলাইয়ে স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আগের রাত ও অনুষ্ঠানদিনের সকাল পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামী জানিয়ে এসেছিল যে, তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবে, তবে স্বাক্ষর করবে না। তাদের দাবি ছিল, “পিআর ছাড়া” কোনো স্বাক্ষর দেওয়া হবে না।