১০ ওভার শেষেও মনে হচ্ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান যাবে দুইশর উপরে। কিন্তু নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সেটি হতে দেননি মোস্তাফিজরা। দুইশ দূরের কথা ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান দেড়শও ছুঁতে পারেনি।
২০তম ওভারের শেষ বল ব্যাটেই নিতে পারেননি আকিল, তবু নন স্ট্রাইক থেকে দৌড় দিয়েছিলেন রোস্টন চেজ। আকিল হোঁচট খেয়ে পপিং ক্রিজে পড়ে গেছেন। চেজ ফিরে আসতে চেয়েও হয়েছেন রানআউট।
যেভাবে শেষটা হয়েছে এবং স্কোরবোর্ডের যে চেহারা দাঁড়িয়েছে, তাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অতৃপ্তি থেকে যাওয়ার কথা। অন্যদিকে বোলিং শেষে অন্তত স্বস্তি নিয়ে ড্রেসিং রুমে ফিরেছে টাইগাররা।
টস হেরে বোলিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই ব্রেন্ডন কিংকে (১) তুলে নেন তাসকিন আহমেদ। কিন্তু দ্বিতীয় উইকেটে আলিক আথানজে ও শেই হোপ ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১০৩ রান যোগ করেন। ১১তম ওভারে দলের রান একশ’ ছাড়ায়। পরে নাসুম-মুস্তাফিজ-রিশাদের ব্রেক থ্রুতে ৯ উইকেটে ১৪৯ রানে আটকে গেছে ক্যারিবীয়রা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ওপেনার আথানজে ৩০ বলে পাঁচটি চার ও তিন ছক্কায় ৫০ রান করে সাজঘরে ফেরেন। শেই হোপ ৩৬ বলে ৫৫ রান করে আউট হন। তিনি তিনটি করে চার ও ছক্কা মারেন। পরের ব্যাটাররা সুবিধা করতে পারেনি।
চারে নামা শেরফান রাদারফোর্ড রানের খাতা খুলতে পারেননি। পাঁচে নামা রোভম্যান পাওয়েল (৩) ও ছয়ে নামা জেসন হোল্ডার (৪) ব্যর্থ হন। পরে রোস্টন চেজ ও রোমারিও শেইফার্ড ছোট ছোট দুটি ইনিংস খেলেন। তারা যথাক্রমে ১৭ ও ১৩ রান যোগ করেন।
বাংলাদেশ একাদশে এক পরিবর্তন এনেছে। নুরুল হাসান সোহানকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তার জায়গায় একাদশে ঢুকেছেন জাকের আলী। ওয়েস্ট ইন্ডিজ অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে খেলছে।