 
     চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলামকে অপসারণের দাবীতে বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে চসিক কর্মচারী ইউনিয়নের উদ্যোগে চসিক কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলামকে অপসারণের দাবীতে বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে চসিক কর্মচারী ইউনিয়নের উদ্যোগে চসিক কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়।
কমিশন বানিজ্য, অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ এনে বক্তারা বলেন, চসিকের প্রনিক শেখ তৌহিদুল ইসলাম চট্টগ্রামের উন্নয়ন কর্মকান্ড ও অস্হায়ী কর্মচারীকে স্হায়ী করার একমাত্র বাধা। সিটি মেয়র নগরীর কোন উন্নয়ন কর্মকান্ড করার উদ্দ্যাগ গ্রহন করলে তিনি তাতে বাধা সৃষ্টি করেছেন। তিনি দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা নেননি।
বক্তারা আরো বলেন, ভবিষ্যতে মেয়র মহোদয়ের উন্নয়ন কর্মকান্ডে তিনি যদি বাধা সৃষ্টি করে তাহলে নগরবাসীকে সাথে নিয়ে তা প্রতিহত করা হবে এবং এই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাকে ৭ কার্য দিবসের মধ্যে অপসারণ করতে হবে। যদি ৭ কর্মদিবসের মধ্যে অপসারন করা না হয় তাহলে আমরা কঠোর কর্মসুচী দিতে বাধ্য থাকিব।
বিক্ষোভ চলাকালে নগর ভবনে ছিলেন না মেয়র। সন্ধ্যায় তিনি নগর ভবনে প্রবেশ মুখে বিক্ষোভকারীদের আশ্বস্ত করে বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে কোন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাকে রাখা হবে না। প্রধান নির্বাহীকে হোল্ডিং ট্যাক্সের অনিয়মের কারণে শোকজ করেছি। ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে জবাব বলা হয়েছে। সন্তোষজনকজবাব না দিলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সমাবেশে চসিক জাতীয়তাবাদী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মামুনুর রশীদ মামুন, খাজা আলাউদ্দিন, সবুর খান মাসুম, রমিজুল হক, আবুল কালাম আজাদ সহ বিপুল সংখ্যক শ্রমিক কর্মচারীবৃন্দ।