বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আগামী নির্বাচনে দল কোনো জোট করবে না, তবে সমঝোতার মাধ্যমে অংশগ্রহণ করবে। তিনি জানিয়েছেন, প্রতিটি এলাকায় আলাদা ভোট বাক্স থাকবে এবং দেশপ্রেমিক ও অন্যান্য অংশগ্রহণকারীরাও এতে যুক্ত হচ্ছেন।
বুধবার সকালে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সংবাদ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তিনি এই কথা বলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমরা সবাইকে নিয়ে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন সম্পন্ন করতে চাই, ইনশাআল্লাহ। যদি নির্বাচন না হয়, তবে দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিপন্ন হতে পারে এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে।
নির্বাচনী জোট বিষয়ে তিনি আরও বলেন, আমরা কোনো জোটের সিদ্ধান্ত নেইনি এবং ভবিষ্যতেও জোট করব না। তবে নির্বাচনে সমঝোতার মাধ্যমে অংশগ্রহণ করব। প্রতিটি কেন্দ্রে একটি করে ভোট বাক্স থাকবে এই নীতির ভিত্তিতেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এখানে শুধুমাত্র ইসলামী দল নয়, দেশের উন্নয়নে বিশ্বাসী ও দেশপ্রেমিক আরও অনেক সংগঠন এবং ব্যক্তি ইতিমধ্যে আমাদের সঙ্গে সংযুক্ত হচ্ছেন। আমরা সবাইকে নিয়েই দেশ গড়তে চাই।
গণভোট প্রসঙ্গে তিনি মন্তব্য করেন, দেশে যদি আগে গণভোট না হয়, তাহলে কী ভিত্তিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে? এজন্য আমরা চাই, নির্বাচনের আগে গণভোট নিশ্চিত করতে হবে এবং জুলাই সনদের আইনি বাস্তবতা খুঁজে নিতে হবে।
অন্যদিকে, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অংশগ্রহণ নিয়ে শফিকুর রহমান বলেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কোনো স্থান নেই। তারা যদি সত্যিই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চেত, তাহলে তাদের জন্য তিনটি নির্বাচনের সুযোগ ইতিমধ্যেই ছিল। কিন্তু তারা তা হাতছাড়া করেছে। এখন তারা যা পছন্দ করছে না, সেই সুযোগ দিলে, সেটি তাদের উপর অন্যায় হবে না?
সম্প্রতি নিজের বিদেশ সফর ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিদেশে প্রবাসীদের উষ্ণ সাদরে আমরা আপ্লুত হয়েছি। তারা আমাদের দেশের প্রতি অগাধ ভালোবাসা দেখিয়েছেন এবং জাতি বিনির্মাণে অবদান রাখতে চান। যদিও প্রবাসীদের অবদান সীমাহীন, আমরা তাদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে এখনো সক্ষম হইনি। এটি আমাদের কাছে একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
ডা. শফিকুর রহমান এবার তৃতীয়বারের মতো জামায়াতের সর্বোচ্চ পদে নির্বাচিত হয়েছেন এবং সিলেটে তাঁর এই সফর প্রথমবারের মতো। সফরের অংশ হিসেবে তিনি জেলা ও মহানগর জামায়াতের আয়োজিত পৃথক সাংগঠনিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবেন।